শিরোনাম
সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

নির্বাচন হবে সব ধরনের প্রভাবমুক্ত : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রভাবমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে দেড় বছরের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করেন। সিইসি এ সময় বলেন, ‘এটি একটি সূচনা দলিল। নির্বাচনের পথে কাজের জন্য এ কর্মপরিকল্পনাই সব নয়। সংযোজন-পরিমার্জন করে সবার মতামত নেওয়া হবে। আমরা সরকার, দেশ-বিদেশের প্রভাবমুক্ত একটি নির্বাচন করব।’ ইভিএম ব্যবহারের দরজা বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংলাপে দলগুলো কী বলে, কী প্রস্তাব দেয় তা দেখতে হবে।’ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় রোডম্যাপ ঘোষণার এ অনুষ্ঠানে কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, শাহাদত হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম ও অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘কর্মপরিকল্পনার বিষয়গুলো স্টেকহোল্ডার, গণমাধ্যম, দলসহ সংশ্লিষ্টদের সামনে উপস্থাপন করে মতামত নেবে ইসি। সবার মতামতের আলোকেই নির্বাচন আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলা সম্ভব।’ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে সংলাপে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের কাছ থেকে সুপারিশের পাশাপাশি সহযোগিতাও চান সিইসি। তিনি বলেন, ‘শুধু সরকার কেন, রাজনৈতিক দল বা যে কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে পারব আমরা। তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত কর্মপরিকল্পনার সাতটি বিষয় ধরে কাজ এগিয়ে যাবে। তফসিলের পর কোনো প্রতিবন্ধকতা এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সম্প্রতি এক নেতার বাসায় ‘অনুষ্ঠানে’ পুলিশের বাধা দেওয়া নিয়ে প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘এটা সরকারের বিষয়। আমরা তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে ব্যবস্থা নেব। এখন সরকারের কাছে কোনো অনুরোধ থাকবে না। তবে তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজন হলে অনুরোধ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিন নির্বাচনী আইন-বিধি অনুযায়ী ইসি কাজ করবে। এ মুহূর্তে সরকার কীভাবে পরিচালিত হবে, রাজনৈতিক কর্মপরিবেশ কীভাবে নিশ্চিত করা হবে তা কমিশনের এখতিয়ারে নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর এ পর্যন্ত সব কাজ প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রেখে করার চেষ্টা করছি। সুষ্ঠু, সুন্দর, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনে আমরা যেন সততা ও শক্তির স্বাক্ষর রাখতে পারি, সেজন্য সবার সহযোগিতা চাই।’ বদলি নিয়ে এক প্রশ্নে নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদোন্নতির এখতিয়ার ইসি সচিবালয়েরই। এ নিয়ে কমিশনের এখতিয়ার নেই।’ সম্প্রতি ৩৩ কর্মকর্তার বদলি-পদোন্নতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের নোটের বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রসঙ্গটি উঠলে ‘এটা তালুকদার সাহেবের প্রোডাক্ট’, সিইসির এমন মন্তব্যে হাসির রোল পড়ে সংবাদ সম্মেলনে। বদলি-পদোন্নতি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ খবর