বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

মনোনয়ন নিয়ে পারিবারিক লড়াই

পিতা-পুত্র, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন সবাই হতে চান এমপি

মাহমুদ আজহার ও রফিকুল ইসলাম রনি

মনোনয়ন নিয়ে পারিবারিক লড়াই

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে মনোনয়নযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। দুই দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নিজ নিজ সংসদীয় আসনে প্রাথমিকভাবে গণসংযোগও শুরু করেছেন অনেকেই। তবে বিগত সময়ের মতো এবারও দুই দলেই মনোনয়ন নিয়ে পারিবারিক লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে বাবা-ছেলে, ভাই-ভাই, স্বামী-স্ত্রী, এমনকি বাবা-মেয়েও মনোনয়ন নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছেন। অবশ্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের ‘বিকল্প’ হিসেবে পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিএনপির ক্ষেত্রে মামলা-সংক্রান্ত কারণে পরিবারের অন্য কেউ নির্বাচন করতে পারেন। এ নিয়ে অবশ্য কেন্দ্রে আলোচনা-সমালোচনা দুটোই রয়েছে। তবে কোথাও কোথাও পরিবারের একাধিক সদস্য ভোটযুদ্ধে এখনই মাঠে নেমে পড়েছেন। দুই দলেই অন্তত অর্ধশত আসনে পারিবারিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে।

আওয়ামী লীগ : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি ফরিদপুর-২ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত এমপি। এবারও তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বয়সের কারণে যদি সাজেদা চৌধুরী এবার দলের মনোনয়ন না চান, তাহলে এ আসনে তার উত্তরসূরি হিসেবে প্রস্তুত করে রেখেছেন ছেলে আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরীকে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। এবারও মোহাম্মদ নাসিম মনোনয়ন পাচ্ছেন এটা নিশ্চিত বলে জানা গেছে। তবে কোনো কারণে তিনি এবার মনোনয়ন না চাইলে তার ছেলে সাবেক এমপি প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয় প্রার্থী হতে পারেন। নাটোর-৪ আসনে বর্তমান এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস। তিনি এ আসন থেকে চারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসন থেকে এবার দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তার মেয়ে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। বাবা আবদুল কুদ্দুস মনোনয়ন না চাইলে তিনি নৌকার টিকিট পেতে পারেন বলে স্থানীয়দের ধারণা।

ঢাকা-৭ আসনের বর্তমান এমপি হাজি মোহাম্মদ সেলিম। গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীনকে পরাজিত করে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। সম্প্রতি স্বতন্ত্র এই এমপি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য হাজি সেলিম এমপি বর্তমানে শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। এ আসনে তার ছেলে সোলায়মান সেলিমকে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে চান হাজি সেলিম। এ জন্য সোলায়মান সেলিম এখন রাজনীতিতে সক্রিয়।

ঢাকা-৫ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা। তিনি বয়সের কারণে এবার দলের মনোনয়ন না চাইলে এ আসন থেকে এবার নৌকার টিকিটপ্রত্যাশী তার ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সজল। সজল সেই প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন।

গাজীপুর-৩ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী। বার্ধক্যজনিত কারণে এবার দলের মনোনয়ন না চাইলে এ আসন থেকে নৌকার টিকিট পেতে পারেন তার ছেলে  জামিল হাসান দুর্জয়। জামিল হাসান দুর্জয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক। নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এখন নির্বাচনী এলাকায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সময় দিচ্ছেন তিনি।

পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি এ কে এম আউয়াল। তার আসনে একাদশ নির্বাচনে নৌকা পেতে জোর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তার আপন ভাই পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক। আবার আউয়ালের স্ত্রী জেলা মহিলা লীগের সভাপতি লায়লা এরাজও মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে জানা গেছে। এলাকার মানুষের প্রশ্ন, নৌকার টিকিট কে পাবেন। আউয়াল, ভাই মালেক, নাকি স্ত্রী লায়লা?

ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে দুইবার নৌকার টিকিট নিয়ে এমপি হয়েছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। দশম সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়ন পান। কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়। আসন ছেড়ে দেওয়া এবং দীর্ঘদিন জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে পুরস্কারস্বরূপ ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবারও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন তিনি। তবে বয়সের কারণে তিনি মনোনয়ন না চাইলে তার ছেলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত নৌকার জন্য লড়বেন বলে জানা গেছে।

কক্সাবাজার-৩ আসনের এমপি সাইমুন সরওয়ার কমল। এবারও তিনি দলের মনোনয়ন চাইবেন। এ আসন থেকে এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী তার বোন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবেরী সরওয়ার। নেত্রকোনা-৩ আসন থেকে এবার মনোনয়নযুদ্ধে মাঠে আছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, নব্বইয়ের গণআন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। একই আসনে দলের মনোনয়ন চান তার স্ত্রী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল।

ফরিদপুর-৪ আসন থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেয়েছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের কাছে পরাজিত হন। তার স্ত্রী বেগম নিলুফার জাফরউল্লাহকে সংরক্ষিত আসন থেকে এমপি করা হয়েছে। এ আসন থেকে কাজী জাফরউল্লাহ এবারও মনোনয়ন চাইবেন। তবে কোনো কারণে না চাইলে নিলুফার জাফরউল্লাহ নৌকা পেতে পারেন বলে জানা গেছে। রংপুর-৫ আসনের বর্তমান এমপি এইচ এন আশিকুর রহমান। তিনি এবার দলের মনোনয়ন চাইবেন। তবে কোনো কারণে তিনি মনোনয়ন না চাইলে তার ছেলে রাশেক রহমান এ আসনে নৌকার টিকিটপ্রত্যাশী।

পাবনা-৪ আসনের এমপি ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। তিনি এবার একই আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। যদি কোনো কারণে তিনি মনোনয়ন না চান, তার মেয়ে মাহজাবিন শিরিন প্রিয়া নৌকা পেতে লড়বেন বলে জানা গেছে। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রিয়া চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নরসিংদী-৫ আসন থেকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছেলে রাজীব আহমেদ পার্থ। জামালপুর-৫ আসনের বর্তমান এমপি সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা। তার ছেলে মো. সালেহীন রেজা একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে চান।

বিএনপি : দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। এলাকায় তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তবে তার বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই। শারীরিক কারণে তিনি আগামী একাদশ নির্বাচন করতে না পারলে ওই আসন থেকে নির্বাচন করবেন তার ছেলে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। বিকল্প প্রার্থী হিসেবে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুধু ঠাকুরগাঁওই নয়, সারা দেশেই দলের ভেতরে-বাইরে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তার ভাই বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মির্জা ফয়সাল আমিন ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে ২০-দলীয় জোটের শরিক জামায়াতকে এ আসন ছেড়েও দিতে পারে বিএনপি।

নাটোর-১ আসন থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে নির্বাচন করতে পারেন বিএনপি জোট সরকারের আমলের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের সহধর্মিণী অধ্যক্ষ শিরিন সুলতানা। নাটোর-২ আসনে বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীদের মুখে আলোচনায় রয়েছেন দলের কেন্দ ীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। মামলা-সংক্রান্ত বা অন্য কোনো কারণে তিনি প্রার্থী হতে না পারলে ‘বিকল্প প্রার্থী’ হিসেবে তার সহধর্মিণী  জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন ছবির নাম শোনা যাচ্ছে। সাবিনা ইয়াসমিন ছবি নিয়মিত এলাকায় যাতায়াত করছেন। বিগত রমজানে ইফতার কর্মসূচিতেও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় অবস্থান করেন দুলুর সহধর্মিণী।

ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে আসছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান। তিনি আবারও ওই আসনে দলের প্রার্থী হতে পারেন। তার মেয়ের জামাই বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম ঢাকা-৮ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।

ঢাকা-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান। নিজ এলাকায় রয়েছে তার জনপ্রিয়তা। সেখানে মামলা-সংক্রান্ত বা অন্য কোনো কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে তার সহধর্মিণী সাবেরা আমান কিংবা তার ছেলে ব্যারিস্টার ইফরান ইবনে আমান নির্বাচন করতে পারেন।

ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। নিজ এলাকাও সেইভাবেই তৈরি করছেন তিনি। তবে মামলা-সংক্রান্ত বা অন্য কোনো কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে সেখানে তার পুত্রবধূ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় নির্বাচন করতে পারেন। ঢাকা-৫ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী প্রভাবশালী নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। তার ছেলে তানভীর আহম্মেদ রবিন ঢাকা-৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী।

সিরাজগঞ্জ সদর আসন থেকে বিএনপির একক প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। মামলা-সংক্রান্ত বা অন্য কোনো কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে তার সহধর্মিণী রোমানা ইকবাল ওই আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন রোমানা মাহমুদ।

কক্সবাজার-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ। মামলা-সংক্রান্ত বা অন্য কোনো কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।

বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মামলার সাজা-সংক্রান্ত বা অন্য কোনো কারণে তিনি অংশ নিতে না পারলে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেই ওই আসনে নির্বাচন করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। ময়মনসিংহ সদর কিংবা মুক্তাগাছায় নির্বাচন করতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ কে এম মোশাররফ হোসেন। তিনি ময়মনসিংহ সদর আসন থেকে নির্বাচন না করলে তার ছোট ভাই জাকির হোসেন বাবলু নির্বাচন করতে পারেন। টাঙ্গাইল-২ আসনে বিএনপি থেকে দলের কারাবন্দী ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু মনোনয়ন চাইতে পারেন। কোনো কারণে তিনি নির্বাচন না করতে পারলে সে ক্ষেত্রে এ আসনে যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু কিংবা তার আরেক ভাই জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন।

ঢাকা-৬ আসন থেকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। মামলার সাজা-সংক্রান্ত বা অন্য কোনো কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে তার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। ঢাকা-৭ আসনে বিএনপির প্রয়াত নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা নির্বাচন করতে পারেন। ঢাকা-৮ আসন থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নির্বাচন করতে পারেন। একইভাবে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ঢাকা-৯ আসন থেকে নির্বাচনে আগ্রহী বলে জানা গেছে। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন নরসিংদী থেকে নির্বাচন করবেন। তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা ঢাকা-৯ আসন থেকে নির্বাচন করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

যশোর-৩ থেকে নির্বাচন করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য তরিকুল ইসলাম। শারীরিক অসুস্থতা বা মামলা-সংক্রান্ত কোনো কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে ওই আসন থেকে তার ছেলে  দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ভোটে অংশ নিতে পারেন। নোয়াখালী-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। মামলা-সংক্রান্ত বা অন্য কোনো কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে ওই আসনে তার মেয়ে তামান্না ফারুক থিমা নির্বাচন করতে পারেন। নোয়াখালী-৩ আসনে নির্বাচন করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কারাবন্দী নেতা বরকত উল্লাহ বুলু। মামলা-সংক্রান্ত বা অন্য কোনো কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে তার স্ত্রী শামীমা বরকত লাকী নির্বাচন করবেন।

মানিকগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচন করতে পারেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ খান মুন্নু। কোনো কারণে তিনি নির্বাচন না করলে তার মেয়ে আফরোজা খান রিতা নির্বাচন করতে পারেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের যুগ্ম-মহাসচিব হারুন অর রশীদ। আবার তার স্ত্রী আসিফা আশরাফি পাপিয়া নাটোরের লালপুর থেকে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী।

সর্বশেষ খবর