সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাজনীতি করতে সাহস লাগে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনীতি করতে সাহস লাগে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতি করতে সাহস লাগে, মামলা মোকাবিলা করতে হয়। কিন্তু বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সেই সাহস নেই। বিএনপি একটা বড় দল তাদেরকে বাদ দিয়ে আমরা নির্বাচন করব, ফাঁকা মাঠে গোল দেব এরকম চিন্তা আমাদের নেই। গতকাল সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের রাজধানী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবসের অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, তারেক রহমানের ব্যাপারটা হচ্ছে, তিনি মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন না। সাড়ে আট বছর ধরে দেশের বাইরে আছেন। সরকারে থেকেও অনেকে মামলার আসামি হয়েছে। দেশের মধ্যে মামলা আসবে মামলা মোকাবিলা করবেন, জনগণই বিচার করবে তার ব্যাপারে জনগণের সিদ্ধান্ত কী? নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, সেখানে জনগণ বিচার করবে কাকে জয়ী করবে।  রাজনীতিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বিএনপির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলছেন, তারা নিজেরাই যদি মুখের কথায় পরিবেশটাকে বিষাক্ত করে তুলে তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে হবে? বিএনপি একটা বড় দল তাদেরকে বাদ দিয়ে আমরা নির্বাচন করব, ফাঁকা মাঠে গোল দেব এরকম চিন্তা আমাদের নেই। আমরা চাই বিএনপিও নির্বাচনে আসুক, তারাও রাজনীতি করুক, তারাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ইনক্লোসিভ নির্বাচন হোক, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক এটা সরকারি দল হিসেবে আমরাও চাই।  তিনি বলেন, রাজনৈতিক আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ থাকেই। এটার মধ্যে শালীনতা থাকা উচিত। ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকা উচিত, আমরা প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করব রাজনৈতিকভাবে। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণটা শোভন নয়। ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে, বিদ্বেষমূলক, উসকানিমূলক বক্তব্য থেকে আমাদের সবার বিরত থাকা উচিত এবং তাতে পরিবেশটা ভালো থাকবে।  সরকারের অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা দলের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের তো এখনো শিডিউল ঘোষণা হয়নি। আমি মনে করি ইলেকশন যখন শুরু হবে তখন কে কতটুকু সুবিধা পাবে, কে কতটুকু সুবিধা পাচ্ছে সেটা দেখা উচিত। নির্বাচনের পরিবেশটা ভোটারদের ভোট দেওয়ার অনুকূলে কিনা এবং বিরোধী দল প্রচার প্রচারণায় সুবিধা পাচ্ছে কিনা। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে সেটা আমাদের দেখতে হবে। এখন সরকার কোথাও দ্রুত যাবে, যেমন রাঙামাটিতে একটা ঘটনা ঘটেছে সেখানে দ্রুত যেতে হবে। সেখানে এখন রাস্তা ঘাটের সব পথ বন্ধ। সেখানে কি আকাশ পথে যাওয়া, হেলিকপ্টারে যাওয়া সেটা কি অপরাধ? বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, সরকার তার সচিব পরিবর্তন করবে সেটা প্রশাসনিক। এটা নিয়ে যদি বিরোধী দল কথা বলেন এটা তো পজেটিভ নয়। এ ধরনের কথা বললে দেশ চালানো যাবে না। বিএনপিও তো ক্ষমতায় ছিল আমরা তো বলিনি, সচিব কেন রদবদল হয়েছে। সচিব রদবদল হবে। রিসাপলিং, সাপলিং আসে এটা চলতেই থাকবে। সেটা নিয়েও তারা কথা বলছে।  আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটে শরিক দল বাড়তে পারে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের যেটা নিয়ম, আমরা সরকারে, আমাদের সঙ্গে চৌদ্দ-দলীয় জোটও এখানে আছে। তারপর আমাদের সরকারে জাতীয় পার্টিও আছে। জাসদ আছে, ওয়ার্কার্স পার্টি আছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর