শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

জীবনযাত্রায় বিপর্যয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম

ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে হাবুডুবু খাচ্ছে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা। বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে হাঁটু থেকে কোমর পানি। ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে পানিতে ভাসছে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজি। মানুষের বসতবাড়ি এবং অফিসে ঢুকে পড়ছে বৃষ্টির পানি। মালিবাগ-মৌচাক সড়কে জমাট বাঁধা কালো পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে বাসাবাড়ির বর্জ্য। বাসাবাড়ির স্যুয়ারেজের লাইন ফেটে মনুষ্য বর্জ্য ভেসে বেড়াচ্ছে পানিতে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার উপায় নেই কর্মজীবী মানুষের। আর এত দুর্ভোগ পাড়ি দিয়ে রাস্তায় পৌঁছালেও দীর্ঘ যানজটে অতিষ্ঠ মানুষ। এই জলজট-যানজট দুর্ভোগ কমাতে মেয়রদের শত চেষ্টা ভাসিয়ে দিচ্ছে শ্রাবণের বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামীকাল থেকে বৃৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও বর্ষাকালের এই বৃষ্টিপাত চলবে প্রায় আরও দেড়-দুমাস। তাই মহানগরীর কী অবস্থা হবে তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এসে যায়।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ৬টা-সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকাতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৬৪ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল নোয়াখালীর মাইজদীতে। তবে এ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামে পরিমাপ করার মতো বৃষ্টি হয়নি। আগামীকালও বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। প্রতিদিনের হাজারো সমস্যার মধ্যে বৃষ্টি হাজির হয়েছে আরেকটি দুর্ভোগের কারণ হয়ে। রাজধানীর অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি, অচল ড্রেন, বদ্ধ খাল, ভরাট নদী আর সেবা সংস্থার ঠেলাঠেলিতে দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।

রিজার্ভ ট্যাঙ্ক-স্যুয়ারেজ একাকার : রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, ধানমন্ডি এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে রিজার্ভ ট্যাঙ্ক এবং স্যুয়ারেজের লাইন পানির নিচে চলে গেছে। এর ফলে রিজার্ভ ট্যাঙ্কের পানিতে মিশে গেছে স্যুয়ারেজের বর্জ্য। আর নিচ থেকে পানির চাপে বাড়ির টয়লেটে উঠে আসছে স্যুয়ারেজের বর্জ্য। ফলে  দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মালিবাগের চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা হায়দার আলী বলেন, তার বাড়ির টয়লেট থেকে সকালের দিকে দুর্গন্ধ আসতে থাকে। ভেবেছিলাম পানি দিলেই ঠিক হয়ে যাবে। পানি দিতেই বাধে বিপত্তি। নিচ থেকে সব নোংরা, পোকামাকড় উঠে আসতে থাকে প্যানের ভিতর থেকে। পরে নিচে গিয়ে দেখি বৃষ্টির পানিতে স্যুয়ারেজ ট্যাঙ্কি এবং রিজার্ভ ট্যাঙ্কি ডুবে গেছে। খাবার পানি থেকে দুর্গন্ধ আসছে। এ নিয়ে খুব বিপত্তিতে আছি। মালিবাগ এলাকার বেশ কিছু বাড়ির স্যুয়ারেজ লাইনে ফাটল ধরেছে।

সরেজমিন রাজধানী : কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কাদাপানি আর যানজটে বিপত্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। এর মধ্যে বৃষ্টি-বর্ষার সময়ে বেড়ে যায় উন্নয়ন কাজের মাত্রা। তাই পানিতে ডুবে দুর্ভোগে পরিণত হয় উন্নয়ন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব দুর্ভোগের চিত্র তুলে এনেছেন আমাদের প্রতিবেদকরা :

ডুবে ছিল সচিবালয় : শ্রাবণের টানা বর্ষণের কারণে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মতো প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ও ডুবে গিয়েছিল হাঁটু সমান পানিতে। শুধু তাই নয়, সচিবালয়ের সামনের আবদুল গনি রোডও ডুবে গিয়েছিল। সরেজমিন দেখা গেছে, সচিবালয়ের ভিতরে সর্বত্র পানি থৈ থৈ করছিল। দুপুর ২টা পর্যন্ত সেই পানি খুব একটা নামেনি। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সচিবালয়ের পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেও খুব একটা সফল হননি।

এই পানির মধ্যে সকালে শুরু হয় ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন। টানা বর্ষণ আর পানি উপেক্ষা করে ডিসিরা সম্মেলনে অংশ নেন। একজন ডিসি জানালেন, এমন পানি এর আগে সচিবালয়ে দেখিনি। আজ পানির মধ্যে জুতা-মোজা খুলে এবং প্যান্ট গুটিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছে।

বৃষ্টি এবং পানির কারণে গতকাল সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও ছিল অনেকাংশে কম। যার ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১২-১৩ বছরের মধ্যে এমন পানি সচিবালয়ে তারা দেখেননি।

ধানমন্ডির গলার কাঁটা রাপা প্লাজা ক্রসিং : ধানমন্ডি এলাকা আর মিরপুর রোডের গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে রাপা প্লাজা ক্রসিং। কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই থৈ থৈ জলে ভাসে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর থেকে শুরু করে আসাদগেট, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে যায় রাপা প্লাজা ক্রসিং ঘিরে আশপাশের এলাকাগুলোতে। রাস্তায় আটকা পড়ে ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন। রাস্তার পাশের দোকানপাটগুলোতে পানি থৈ থৈ করে। লালমাটিয়া এলাকার তিনটি ব্লকের রাস্তাঘাটও ডুবে যায় অথৈ পানিতে। পানি নামার সুব্যবস্থা না থাকার কারণে বৃষ্টি থামলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলাবদ্ধ থাকে ওই এলাকা। সঙ্গত কারণেই রাস্তায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। গতকালের বৃষ্টিতেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অচল ছিল ওই এলাকা। এ নিয়ে এবারের বর্ষা মৌসুমে তিন দিন ডুবল ধানমন্ডি ২৭ নম্বর ও আশপাশের এলাকা।

দুপুর ২টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ২৭ নম্বর ক্রসিং সরেজমিন দেখতে গিয়েছিলেন। তখন তিনি সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, বৃষ্টি থেমে গেলে চার ঘণ্টার মধ্যে শহরের পানি নেমে যাবে। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশনের কাজ ওয়াসার— এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে পানি নিষ্কাশনের।

যাত্রাবাড়ীতে থৈ থৈ পানি : শনিরআখড়া থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত দেখা গেছে পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে। সড়কের উভয়পাশে উন্নয়ন কাজের জন্য গর্ত করায় পানিতে সয়লাব। পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধ পুরো এলাকা। ধোলাইপার থেকে যাত্রাবাড়ী, দয়াগঞ্জ, সায়দাবাদের পুরো সড়কজুড়ে কাদামাটিতে মানুষের চলাচলে ভোগান্তি চরম পর্যায়ে ছিল। তীব্র গাড়ি জ্যামে যাত্রাবাড়ী থেকে বাসে এক কিলোমিটার যেতে সময় লেগেছে ঘণ্টার বেশি। দয়াগঞ্জ মোড় থেকে চারদিকে সড়কে জমেছে প্রায় হাঁটু সমান।

নৌকা চলছে মালিবাগ-মৌচাকে : মালিবাগ-মৌচাক সড়কে কোমর থেকে বুক সমপরিমাণ পানি। রিকশায় পানি উঠায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছে মানুষ। ফ্লাইওভারের কাজে নিচের রাস্তায় তৈরি হওয়া গর্তে উল্টে পড়ছে রিকশা। অনেক সময় উল্টে যাওয়ার ভয়ে রিকশা বা গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হচ্ছে মানুষ।

জলমগ্ন সংসদ এলাকা : টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকাতেও সৃষ্টি হয়েছিল জলজট। সংসদ ভবনের সামনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, সংসদ ভবনের দক্ষিণ গেট হয়ে প্রবেশ পথ পুরোটাতেই ছিল হাঁটুজল। পূর্বদিকের মনিপুরী রাস্তা ও আসাদ গেট এলাকার পশ্চিম গেট এলাকার প্রবেশপথও ছিল পানিতে ঢাকা। এমপি হোস্টেলে বা ন্যাম ফ্ল্যাট এলাকায়ও ছিল থৈ থৈ পানি। সংসদ এলাকায় এমন পানি জমা নিয়ে সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উপচে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আগামীতে যাতে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হাঁটু পানিতে কারওয়ানবাজার : টানা বর্ষণে বিপাকে পড়েছে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা কারওয়ানবাজার-ফার্মগেট এলাকার মানুষ। দিনের বেশিরভাগ সময় প্রধান সড়কে হাঁটুপানি থাকায় নগরবাসী জলজটে নাকাল হয়েছে। পানির কারণে সড়ক সংলগ্ন দোকানপাট বন্ধ রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তেজতুরী বাজার এলাকার বিভিন্ন গলিতে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। কাঁচাবাজার এলাকা, সার্কফোয়ারা থেকে এফডিসি পর্যন্তও বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কারওয়ানবাজার-ফার্মগেট এলাকার বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে গেলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। 

জলজটে অচল পুরান ঢাকা : পুরান ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে তীব্র জলজটের সৃষ্টি হয়ে অচলাবস্থা দেখা দেয়। জলাবদ্ধতার কারণে টিনশেড বাসাগুলোর গ্যাসের চুলাও তলিয়ে গেছে। ফলে ওইসব বাসার পরিবারগুলোকে রান্না বন্ধ করে দিয়ে শুকনো খাবার খেয়ে থাকতে হয়েছে। রাত থেকে টানা বর্ষণে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে পুরান ঢাকা ও তার আশপাশের সড়কগুলোতে। সেই সঙ্গে জনজীবনে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে। তবে তুলনামূলকভাবে কষ্টের মাত্রা বেশি ছিল সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের।

পানি নামতেই বেহাল চট্টগ্রাম : টানা বৃষ্টির পানিতে বেহাল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলো। স্বাভাবিক চলাচলেও দুর্ভোগে রয়েছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো এখন গর্তে পরিণত হয়েছে। পাহাড়তলী, সরাইপাড়া, আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, খাতুনগঞ্জসহ যাতায়াতের প্রধান সড়ক আগ্রাবাদ এক্সেস রোডটিও বেহাল হয়ে পড়েছে। গত দুই মাসে বৃষ্টির পানিতে এখন সড়কগুলোর কারণে রীতিমতো দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি প্রতিবারই ডুবছে সড়কসংলগ্ন আবাসিক এলাকাও। জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নগরের সড়কগুলো।

আগ্রাবাদের আজাদ বলেন, পানি নেমে গেলেও এলাকার সড়কগুলোর বেহাল দশা। এসব রাস্তা কখন সংস্কার হবে সেই অপেক্ষায় রয়েছি। যেমনি বৃষ্টি তেমনি রাস্তা খারাপ। প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরাও। তবে এই বছরের মতো দুর্বিষহ অবস্থা অতীতে কখনো হয়নি।

সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা জানান, নষ্ট হওয়া সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। অনেক রাস্তা মেয়র পরিদর্শন করেছেন। আশা করি দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, এ বৃষ্টি আরও দুই-তিন দিন থাকতে পারে। এ কারণে আগে থেকেই ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ধসের সতর্কতা ছিল। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার পর এবার রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। নগরের সড়কে গণপরিবহনের চরম স্বল্পতা দেখা দেয়। গণপরিবহন কম থাকায় অফিস, স্কুল-কলেজ কর্মমুখী মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন। পরিবহন স্বল্পতায় অতিরিক্ত ভাড়াও গুনতে হয়েছে যাত্রীদের।

অন্যদিকে, দেশের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকায়ও ছোবল মেরেছে জলাবদ্ধতা। অতি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বৃহত্তম এই বাজারের অনেক দোকান এবং আড়ত।

তীব্র যানজটে নাকাল নগরজীবন : একদিকে ভোররাত থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি অন্যদিকে সীমাহীন যানজটে নাজেহাল নগরবাসী। অনেক জায়গায় গাড়ির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে নগরবাসীকে। যানজটে ক্ষোভ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, যানজটের কবলে বছরে আমাদের ৩২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি গুনতে হচ্ছে। একজন হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষ বা গর্ভবতী মা যদি এই যানজটে আটকা পড়ে তাতে জীবনহানির ঘটনা অসম্ভব নয়। তাই এ বিষয়টিকে খুব দ্রুত সমাধান করা দরকার।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, বৃষ্টির কারণে মানুষ রাস্তায় কম বেরিয়েছে। এজন্য অন্যদিনের তুলনায় গাড়ি কম ছিল। আর যানজটে গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। দিনে দুবার ট্রিপ দেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর