বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

সজীব ওয়াজেদ জয় সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি

আশরাফুল আলম খোকন

সজীব ওয়াজেদ জয় সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি

যদি এক কথায় প্রকাশ করি তাহলে বলতে পারি সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি। আরও কিছু সময় আগে থেকে বললে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, হার্বার্ড গ্রাজুয়েট একজন স্বপ্নবান তরুণ। যিনি স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং এর বাস্তবায়ন করেন। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, সেই স্বপ্নবান তরুণের আজ জন্মদিন। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। সজীব ওয়াজেদ জয় যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি নিয়ে আসেন তখন অনেকেই মুচকি হেসেছেন, টিপ্পনি কেটেছেন, উপহাস করেছেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে পুরো বিশ্ব আজ আমাদের হাতের মুঠোয়। মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে দিয়েছে। এখন প্রযুক্তি খাতকে কেন্দ্র করে শুধু শহর অঞ্চল নয়, গ্রামের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের লাখ লাখ উদ্যোক্তা তৈরি করেছে। পড়াশোনার পর চাকরি না খুঁজে নিজেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। মিলিয়ন ডলার আয় করছে স্বপ্ন দেখা এই তরুণ প্রজন্ম। হতাশ তরুণ সমাজে আশার আলো দেখিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এখন আর কাউকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিল পরিশোধ করতে হয় না। ছাত্রছাত্রীরা ঘরে বসেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফরম পূরণ করে। মোবাইলে পরীক্ষার ফল পায়। ঘরে বসেই মানুষ ব্যাংকের সব কাজ করতে পারে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সহজেই যানবাহন মিলে যায়। প্রত্যেকের মোবাইল ফোনই এখন এক একটা সংবাদ মাধ্যম। সহজ কথায় মানুষের জীবনের প্রতিটি স্তরে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া লেগেছে। প্রত্যহিক জীবনে কাজকর্মকে সহজ এবং গতিশীল করে দিয়েছে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা। অনলাইনে ওয়ার্কারে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার। ২০০৮-এ বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার আগে যা ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। সারা দেশে সর্বমোট ৪০টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। যাতে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা (অবৈতনিক) হিসেবে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের প্রতিটি পণ্যকে মানুষের কাছে সহজলভ্য করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তার পরামর্শেই উচ্চমূল্যের ইন্টারনেট, কম্পিউটারকে শুল্কমুক্ত করা হয়েছে। থ্রিজি চলে এসেছে, ফোরজি ইতিমধ্যেই অনুমোদিত, যে কোনো সময় বাজারে আসবে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেওয়ার সময় যে ব্যান্ডউইথ ইন্টারনেটের দাম ছিল প্রতি এমবিপিএস ৭৮ হাজার টাকা, এর দাম এখন মাত্র ৬০০ টাকা। দেশের তরুণ সমাজের কাছে ইন্টারনেটকে সহজলভ্য করার জন্যই সজীব ওয়াজেদ জয় এ উদ্যোগ নিয়েছেন।  এসব নিয়ে বলতে গেলে আরও অনেক কিছুই বলতে হবে। এবার আসেন একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। আমরা অনেকেই তুলনা করতে পছন্দ করি। অনেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে বেগম জিয়া ও তার পুত্রদের তুলনা করে। যেখানে পার্থক্যটা আকাশ-পাতাল সেখানে তুলনা করাটা সম্পূর্ণই অযৌক্তিক এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারকে অসম্মান করার মতো। খালেদা জিয়া দুই মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনারা সবাই জানেন তার এই দুই মেয়াদে তাদের পরিবারের দুর্নীতির কাহিনী। হাওয়া ভবনের দুর্নীতির কথা আজ দেশ পেরিয়ে সারা বিশ্বই অবগত। তারেক রহমান হাওয়া ভবনের মাধ্যমে বিকল্প সরকার গঠন করে দেশজুড়ে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস করেছেন তা বিশ্বের বড় বড় দুর্নীতির গল্পকেও হার মানিয়েছে। খোয়াব ভবন তৈরি করে সেখানে নিয়ে নারীদের অসম্মান করা হয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন খালেদা জিয়ার এক ছেলে ব্যস্ত থেকেছে কমিশন, চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্থ লুটপাট আর নারীদের সম্ভ্রমহানি নিয়ে। তার আরেক ছেলে দেশের যুব সমাজের হাতে মাদকদ্রব্য ধরিয়ে দিয়ে যুবসমাজকে ধ্বংস করেছে।  কিন্তু আমরা তার বিপরীতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, সজীব ওয়াজেদ জয় হার্বার্ড থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। তিনি সরকারের ভিতর কোনো বিকল্প সরকার তৈরি করেননি, হাওয়া ভবনের মতো কোনো ভবন তৈরি করেননি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হওয়া সত্ত্বেও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের মতো তার কোনো দুর্নীতিবাজ বন্ধু নেই। বিদেশে পড়াশোনা করা সজীব ওয়াজেদ জয় এখনো বিদেশেই কাজ করে জীবিকানির্বাহ করেন। শুধু সজীব ওয়াজেদ জয়ই নন, তার বোন শেখ হাসিনাকন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের বিভিন্ন স্বীকৃতি লাভ করে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক আজ দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য। আরেক ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সুতরাং শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে জিয়া পরিবারের তুলনা শুধু অন্যায়ই নয় বরং গর্হিত অপরাধ। তুলনা করার আগে আপনারা এই উপমহাদেশে আরেকটি প্রধানমন্ত্রীর পরিবার দেখান, যে পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি সদস্য উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।

সর্বশেষ খবর