শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

যারা আন্দোলনে ব্যর্থ তারা সরকার গঠনেও ব্যর্থ : কাদের

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, বিরোধী দলে থেকে যারা আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়, তারা সরকার গঠন করতে পারে না। আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন কান্নাকাটি আর নালিশে ব্যস্ত। সহায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সহায়ক সরকার বলতে সংবিধানে কিছু নেই। আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

ওবায়দুল কাদের গতকাল সকালে পটুয়াখালীর লেবুখালী পায়রা নদীতে নির্মাণাধীন পায়রা সেতু কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে একথাগুলো বলেন। এর আগে একই এলাকায় নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা সেনানিবাস পরিদর্শন শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মন্ত্রী আরও বলেন, আমরাও চাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আর নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ  জনগণের রায় নিয়ে আবারও সরকার গঠন করবে। পরে তিনি নদীর দক্ষিণ পাড়ে লেবুখালী ফেরিঘাট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এ সময় চিফ হুইফ আসম ফিরোজ, বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, দলের কেন্দ্রীয় নেতা আফজাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মোশারফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীরসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ব্রিজ সংশ্লিষ্ট চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী ফেরিঘাটে পায়রা নদীতে পায়রা সেতুর (লেবুখালী সেতু) ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ২০১৩ সালের ১৯ মে। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই সেতুর কাজ শুরু হয়। ১৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে মূল সেতুর পরিধি নদীর মধ্যে ৬৩০ মিটার। বাকি ৮৪০ মিটার রয়েছে ভায়াডাক্ট ব্রিজ বা সংযোগ সড়ক সেতু। প্রস্থ রয়েছে ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি কুয়েত ফান্ডের ১০০ মিলিয়ন ডলারের সঙ্গে ওফিডের ৩০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে এই প্রকল্পে। বাংলাদেশি টাকায় প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাস্তবায়নে পায়রা সেতুর প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে চীনের লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড। কনসালটেন্সি ফার্ম হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ, কুয়েত, ভারত ও কোরিয়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। সেতু প্রকল্পের আবাসিক প্রকৌশলী মনজিত কুমার সাহা জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দরকে মাথায় রেখেই এই সেতু ফোর লেন করা হচ্ছে। মূল সেতুতে স্প্যান থাকছে ৪টি।  মাঝ নদী বরাবর দুটি ২০০ মিটার ও পাশের দুটি ১১৫ মিটার করে। এ ছাড়া পটুয়াখালী প্রান্তে ১৬টি ও বরিশাল প্রান্তে ১২টি স্প্যান থাকছে ৩০ মিটার করে। মাঝে লেন ছাড়াও থাকছে ১ মিটার দৈর্ঘ্যের ফুটপথ।

সর্বশেষ খবর