মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
কেন থামছে না এই বর্বরতা

সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদণ্ড

জিনাত হুদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদণ্ড

সমাজে বড় ধরনের মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে। এই ধর্ষণের ঘটনাগুলো আমাদের নাড়া দিয়ে যায়। আর যখন ছোট্ট অবুঝ শিশুদের ধর্ষণের শিকার হতে দেখি, তখন নিজেকে অসহায় লাগে। মানুষ কতটা বিকৃত, কুরুচিপূর্ণ হলে তিন বছরের একটা শিশুকে ধর্ষণ করতে পারে। এসব ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত, যাতে করে কেউ আর এ ধরনের অপরাধ করার দুঃসাহস না করে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।

তিনি বলেন, ‘বাড্ডা বা বগুড়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। তাই আমাদের পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও সমাজকে সচেতন হতে হবে। সমাজে মেয়েদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে মনে করা হয়। সে দুই বছরের শিশু হোক আর ৭০ বছরের বৃদ্ধা। আর মানুষের মধ্যে এই প্রভাব তৈরির একটা বড় উপাদান আকাশসংস্কৃতি। আকাশসংস্কৃতির কারণে অসুস্থ পারিবারিক-সামাজিক নাটক-সিনেমা দেখছে এ দেশের মানুষ। এই অনুষ্ঠানগুলোর একটিতেও সুস্থ ও স্বাভাবিক সামাজিক, পারিবারিক অথবা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয় না। কোনো আদর্শগত ভিত্তি নেই এসব অনুষ্ঠানের। তাই এই আকাশসংস্কৃতির প্রকোপ বন্ধ করতে হবে।’

জিনাত হুদা বলেন, ‘মেয়েদেরও তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন বিবেচনায় পরিধান করা উচিত। পশ্চিমা সমাজব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের সমাজব্যবস্থা মেলালে চলবে না। কারণ আমরা এখনো তাদের মতো সামাজিক, পারিবারিক বা অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে পৌঁছতে পারিনি। সমাজে সামাজিক মূল্যবোধের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তথ্যপ্রবাহের নামে মুঠোফোনের মাধ্যমে উঠতি বয়সী ছেলেদের হাতে পৌঁছাচ্ছে পর্নোগ্রাফি। আর এসব কারণে কুরুচিপূর্ণ ও বিকৃত বিষয় জায়গা করে নিচ্ছে তাদের মেধায়, মননে। আর এর ফলে সমাজ পাচ্ছে খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা।

সর্বশেষ খবর