মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বগুড়ায় কাউন্সিলর মা-বাবা বোনসহ সাতজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় কিশোরী ধর্ষণ ও তার মাকে নির্যাতনের পর ন্যাড়া করার ঘটনায় নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি ও মা-বাবা বোনসহ সাতজনকে গতকাল রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আগের দিন প্রধান আসামি শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারসহ চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

রবিবার রাতে পাবনা থেকে বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি ও তার মা রুমি খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সাভার থেকে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা আকতার, গাড়ি চালক জিতু ও সহযোগী মুন্নাকে গ্রেফতার করে বগুড়ায় নেওয়া হয়। নরসুন্দর জীবন রবিদাস ও রুমকির বাবা মো. রুনুকে গতকাল আটক করে পুলিশ। বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে দুটি মামলা হয়েছে। দুটিরই প্রধান আসামি তুফান সরকার। আসামিরা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। সন্দেহজনক আসামি হিসেবে রুমকির বাবা রুনুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাথামুণ্ডনকারী নরসুন্দরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ সুপার আরও জানান, আসামি তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা, আশার বড় বোন কাউন্সিলর রুমকি, তুফানের শাশুড়ি রুমি এবং সহযোগী আতিক, মুন্না, দিপু, জিতু, রূপম সবাই এখন গ্রেফতার। এজাহারের আর এক আসামি শিমুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, গতকাল সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত কাউন্সিলর রুমকিকে চার দিন এবং রুমি, আশা, জিতু, মুন্না ও রবিদাসকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এর আগে রবিবার তুফান ও তার তিন সহযোগীকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। আসামি  আতিক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি করে গতকাল জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। তুফান সরকার গত ১৭ জুলাই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরদিন বিচারের নামে কাউন্সিলর রুমকি ও তার সহযোগীরা মাসহ কিশোরীকে মারধরের পর ন্যাড়া করে দেয়। বগুড়া সদর থানায় কিশোরীর মা অপহরণ, ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ খবর