বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বন্ধ করতে চাই দুর্নীতি লুটপাট দখলদারিত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্ধ করতে চাই দুর্নীতি লুটপাট দখলদারিত্ব

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘আমরা দুর্নীতি-লুটপাট ও দখলদারিত্ব বন্ধ করতে চাই। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। জনদুর্ভোগ লাঘব করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের বাইরে বিকল্প বাম গণতান্ত্রিক শক্তি গড়ে তুলতে চাই। এ জোট হবে দাবি আদায়ের সংগ্রামের জোট। এটি আমাদের নির্বাচনী জোট নয়।’ গতকাল পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের বাইরে বিকল্প বাম গণতান্ত্রিক শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চা। নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বা বিএনপির প্রস্তাবিত সহায়ক সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। সেজন্য নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কার এবং নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও আরও শক্তিশালী করার প্রস্তাব দিয়েছেন বাম নেতারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ সময় সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাম নেতা মোশরেফা মিশু, রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ দেশে বিরাজমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করবে বলে জানানো হয়। তাদের দাবি আদায় না হলে দেশব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বাম নেতারা। লিখিত বক্তব্যে সাইফুল হক বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, সভা-সমাবেশ, মিছিল, বিক্ষোভ, ধর্মঘট, হরতাল ও স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ চলছে, এটি বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে মজুরি কমিশন গঠন করে শ্রমিকদের ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। জাতীয় সম্পদের মালিকানা জনগণের, তা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, ‘মহাজোট সরকারের দুর্নীতি আর দুঃশাসনে মানুষ দিশাহারা। সংবিধানস্বীকৃত অধিকারগুলো এখন রুদ্ধ। ভোটাধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থের উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। মহাজোট ও জোট কারও কাছেই ভোটাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকারসমূহ যেমন নিশ্চিত নয়, তেমন দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা, জাতীয় সম্পদও নিরাপদ নয়। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জোরদার করতে আমরা বাম গণতান্ত্রিক শক্তির নেতৃত্বে সব রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর