অবৈধ শ্রমিকদের গ্রেফতারে মালয়েশিয়া সরকারের অভিযান চলছেই। জনবহুল মার্কেটগুলোতে নিয়মিতই অভিযান চলছে। গতকালও মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাংলা মার্কেট খ্যাত কোতারায়াতে ইমিগ্রেশন, পুলিশ, রেল ও ডিবিকেএলের যৌথ অভিযান হয়েছে। আটক করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের ১৮০ অবৈধ শ্রমিককে। এর মধ্যে আছেন বাংলাদেশিরাও। এর আগে বুধবার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ মিশনের সামনে থেকে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশিকে আটক করে মালয়েশিয়া পুলিশ। মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গতকাল স্থানীয় সময় দুপুরে বাংলা মার্কেট খ্যাত কোতারায়াতে শুরু হয় সাঁড়াশি অভিযান। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে সেখানকার পুলিশ। তবে এখানে বাংলাদেশি ঠিক কতজন আটক হয়েছেন তা জানা যায়নি। মালয়েশিয়ায় ধরপাকড় অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। সরকার তাদের ব্যাপারে ভাবছে। পর্যায়ক্রমে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এ ছাড়া মালিকেরা চাইলে অবৈধদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনর্নিয়োগ করতে পারবেন। এতে তারা ফের কাজের সুযোগ পাবেন বলে মনে করছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অধিদফতরের মহাপরিচালক দাতু শ্রী মোস্তফা বিন আলী নিশ্চিত করেছেন, অবৈধ ব্যক্তিদের ধরপাকড় যে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার একটি স্বাভাবিক ও চলমান প্রক্রিয়া। তবে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সব অবৈধ বাংলাদেশি রি-হায়ারিং প্রক্রিয়ার আওতায় বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। তিনি এ সুযোগ গ্রহণে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তবে গ্রেফতারের ভয় এড়িয়ে রি-হায়ারিং প্রক্রিয়ায় যাতে সব বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করতে পারেন, সে জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ মালিকপক্ষের চিঠির ভিত্তিতে তাদের নিরাপদে ইমিগ্রেশন অফিসে যাতায়াতের সুযোগ করে দেবেন। এ ছাড়া তারা অন্যান্য কার্যকর পন্থা নিরসনের প্রচেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, এক লাখের বেশি বাংলাদেশি ই-কার্ডের এবং দুই লাখ ৯৩ হাজার রি-হায়ারিং প্রক্রিয়ার অধীনে এসেছেন।