শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অজানা অধ্যায়

গোয়েন্দা ব্যর্থতাই বড় কারণ

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গোয়েন্দা ব্যর্থতাই বড় কারণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে চললেও কেউ জানতে পারেনি এই গোয়েন্দা ব্যর্থতা বঙ্গবন্ধু হত্যার বড় একটা কারণ। তিনি বলেন, ‘যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সেদিনও সেনা সদস্যরা বাঁচাতে এগিয়ে যায়নি। সবাই সুবিধা ভোগের জন্য কাজ করেছে। কেউ জাতির জনককে রক্ষায় এগিয়ে যায়নি।’ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, এই হত্যার ষড়যন্ত্রীদের শেকড় দেশে এবং বিদেশের মাটিতে। তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া, খুনিদের সাজা ও পলাতকদের বর্তমান অবস্থা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করা উচিত। এতে করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের সম্পর্কে জাতির পরিষ্কার ধারণা থাকবে। শুধু আগস্ট এলে খুনিদের ফিরিয়ে আনার কথাবার্তা বললে হবে না। ইন্টারপোলের মাধ্যমে জোর তৎপরতা চালিয়ে খুনিদের দেশে নিয়ে এসে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রেক্ষাপট তৈরিতে জাসদের বড় ভূমিকা ছিল। তারা প্রচারণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্বৈরাচারী হিসেবে দেখাতে চেষ্টা করেছিল। তারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের কিছুই বোঝে না। তারা ঈদের মাঠেও সংসদ সদস্যদের হত্যা করেছে। সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, একজন নেতা সবার সন্তুষ্টি বিধান করতে পারবেন, এটা সম্ভব না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এই সব কথাবার্তা ছড়িয়ে নেতাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করতে হবে। যারা ওরকম ভেবেছিল সুবিধাবাদী। সেই বামপন্থিরা এখন আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভার সদস্য। পঞ্চাশের দশকে এরা আওয়ামী লীগকে প্রগতিশীল বিবেচনা করে দলে যোগ দিয়েছিল। এই বামদের অবস্থান তখন খুব একটা শক্তিশালী ছিল না। আবার এরা জাসদের মতো হঠকারীও ছিল না। মওলানা ভাসানীর রাজনীতি সম্পর্কে ইতিহাসের এই অধ্যাপক বলেন, মওলানা ভাসানীর রাজনীতি স্পষ্ট ছিল না। তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির অনেক বিপক্ষে ছিলেন। তিনি সস্তা জনপ্রিয়তা তৈরি করতে চেয়েছিলেন।

সর্বশেষ খবর