বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বললেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আমরা একটি পর্যায়ে এনেছি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এ পর্যায় থেকে আরেকটি পর্যায়ে নিয়ে যাবে এবং আমি খুবই আশাবাদী যে, নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা বর্তমানের মতো সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা পেতে থাকলে নিশ্চয়ই বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশ অনন্য এক স্থান দখলে রাখতে সক্ষম হবে।’
৩০ বছর বয়সী সাকিব বলেন, ‘শরীর যদি পারমিট করে তাহলে আরও ১০ বছর খেলতে পারব, ইনশা আল্লাহ। আর আমার স্বপ্ন হচ্ছে, অবসরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নের মুকুট উপহার দেওয়া।’ খবর এনআরবি নিউজের। সাকিব বললেন দক্ষিণ এশিয়ানদের প্রিয় চিত্রনায়ক শাহরুখ খানের কথাও। কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান। সাকিব খেলেন সেই টিমে। এর ফলে শাহরুখ সম্পর্কে সাকিবের অনেক ধারণা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘খুবই হাম্বল ও বন্ধুসুলভ আচরণ করেন তিনি। বাংলাদেশের খেলা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে দেখে থাকেন। আমার সঙ্গে যখনই কথা হয়, তিনি আমাদের টিমের খেলা পর্যালোচনা করেন এবং বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।’ সাকিব আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে আমাকে উপদেশ দেন, কীভাবে ভালো বাবা এবং ভালো স্বামী হওয়া যায়।’ নিজের প্রেম ও বিয়ে প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘ফেসবুকে পরিচয় ঘটে উম্মে আহমেদ শিশিরের সঙ্গে। এত সুন্দর মেয়ে, ছবি দেখেই অভিভূত হই। একপর্যায়ে মনে হয়েছিল যে, এটি হয়তো ফেইক আইডি। কিন্তু বাস্তবেই যে সে ছিল। লন্ডনে খেলার সময় দেখা হয় দুবার। এর পরই বিয়ে। প্রেম করার তেমন সুযোগ ঘটেনি। তবে তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো এবং সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত। কারণ, বিয়ের পর আমি আরও বেশি উৎসাহ পাচ্ছি ক্রিকেটের প্রতি।’ সাকিবের দুই বছর বয়সী কন্যা আলেনা হাসান অব্রেসহ স্ত্রী শিশির থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের মেডিসন সিটিতে। ১০ আগস্ট শুক্রবার রাতে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি মিলনায়তনে প্রবাসীদের মুখোমুখি হওয়ার চমৎকার এ আয়োজন করেছিল ‘শো টাইম মিউজিক’ নামক একটি বিনোদন সংস্থা। এ সংস্থার প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলমের আমন্ত্রণে সর্বস্তরের প্রবাসীর সমাগম ঘটেছিল। সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে চলে যান সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট এবং ব্যক্তিজীবনের যাবতীয় প্রশ্নে তিনি ছিলেন প্রফুল্ল। অবলীলায় তা বিবৃত করেছেন প্রবাসীদের কৌতূহল মেটাতে। এর আগে সাকিবকে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বহু বছর যাবৎ নিউইয়র্কে বসবাসরত আরেক কৃতী অ্যাথলেট ও সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রেসিডেন্ট সাঈদ-উর রব। ১৯৮০ সালে এই রব ডিসকাস থ্রোতে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন। এ সময় নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এম আজিজ, প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী সাঈদ রহমান মান্নান, কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভিন, বাংলাদেশ সোসাইটির সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিকী, আহসান হাবীব শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। গভীর রাত অবধি চলা এ অনুষ্ঠানে আগতরা সাকিবের সঙ্গে ফটোসেশনের পাশাপাশি সেলফিতেও মেতেছিলেন। উল্লেখ্য, গত শনি ও রবিবার ফ্লোরিডায় ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের খেলায় অংশ নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন সাকিব আল হাসান। হৃদ্যতাপূর্ণ এ আলাপচারিতায় বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি লাবলু আনসার, সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ আহমেদ, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, কানু দত্ত, আজিমউদ্দিন অভি, যুক্তরাষ্ট্র শাখা রিয়াল অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান স্মৃতি সংসদের সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম জনি প্রমুখ।
