বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের বাঁধগুলো খুলে দেওয়ার কারণেই হঠাৎ করে উত্তরাঞ্চলের তিস্তাসহ সব নদ-নদীতে অনেক বেশি পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য সরকারের যা করা উচিত ছিল দুর্ভাগ্যজনক সেটি লক্ষ্য করা যায়নি। বন্যায় কিছুই করছে না সরকার। গতকাল দুপুরে  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজ নির্বাচনী এলাকায় বন্যা দুর্গতের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে বন্যা প্লাবিত ডিসি বস্তিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি আশা করব সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে বন্যায় আটকে পড়া মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসবে। এ ছাড়া বন্যা দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বন্যাকবলিত অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য। তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সরকার নাটক সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগের যে বৈধতা নেই এবং সরকারের টিকে থাকার নৈতিক যে অধিকার নেই এই রায়ে সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই রায়ে যে বিষয়গুলো এসেছে তা ধ্রুব তারার মতো সত্য। রায়ে অতি সত্য কথা বেরিয়ে এসেছে, সেই সত্য কথা না বলার জন্য আওয়ামী লীগ সংবিধানে আইনও তৈরি করেছে। তারা একদলীয় মানসিকতা তৈরির জন্য কাজ করছে। আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস আদালতের রায় তাদের মতো না হলে, সেটি তারা মানতে রাজি নয়। তিনি বলেন, এই রায়টি সত্যকে তুলে ধরেছে তাই আমরা এ রায়কে বলছি ঐতিহাসিক যুগান্তকারী রায়। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ যেটা করছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা চাই সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং সংলাপের আয়োজন করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। এর আগে মির্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁওয়ে বন্যাকবলিত কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে অসহায় মানুষের মাঝে চাল, ডাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেন ও বন্যাপ্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, জেলা যুবদলের সভাপতি মহেবুল্লাহ আবু নূর চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।