বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

শত শত ভারতীয়কে আশ্রয় দিল বাংলাদেশ

প্রতিদিন ডেস্ক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া কয়েক শ মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। খবর বিবিসি বাংলা।কোচবিহার জেলার অন্তত দুটি এলাকা থেকে বহু মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে গেছেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত পশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রী। লালমনিরহাট থেকে বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানান, সীমান্তবর্তী ভারতীয় গ্রামগুলো থেকে বন্যার্ত ৫০০-৬০০ লোক আসে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোরশেদ বলেন, যেহেতু তারা বিপদে পড়ে এসেছেন, মানবিক কারণেই তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়নি। তারা এখানে এসে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ঘর-বাড়িতে আশ্রয় নেন। সীমান্তের ওই এলাকাটি একটু অদ্ভুত। সীমান্তে বাংলাদেশের দুটি গ্রাম মোগলহাট ও দুর্গাপুরের মধ্যবর্তী জায়গায় রয়েছে তিনটি ভারতীয় গ্রাম, যেগুলো ধরলা নদী দ্বারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন এবং বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। সীমান্তে কাঁটাতার নেই সেখানে। ফলে বন্যাপ্লাবিত হওয়ার পর তারা আর ধরলা পাড়ি দিয়ে ভারতে যেতে পারেননি। রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘জারিধরলা আর দরিবস এলাকায় প্রায় হাজার ছয়েক মানুষ থাকেন। নদীতে এমন স্রোত যে, এত লোককে উদ্ধার করে নিয়ে আসা অসম্ভব। ত্রাণও পৌঁছানো যাচ্ছে না। সেজন্যই ওরা বাংলাদেশের দিকে চলে গেছে। তুফানগঞ্জ এলাকার চরবালাভূতেরও একই অবস্থা। হাজার চারেক মানুষ সেখানে পানিবন্দী হয়ে আছেন। তবে কতজন সেখান থেকে বাংলাদেশের দিকে গেছেন, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ, আমাদের নাগরিকদের বিপদের দিনে তারা ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করছেন।’ তবে বিএসএফের সূত্রগুলো বলছে, ভারত থেকে বাংলাদেশের দিকে চলে গেছেন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ, এমন তথ্য বিজিবি তাদের জানায়নি। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যারা বাংলাদেশের দিকে চলে গিয়েছিলেন, এমন কিছু মানুষ আবারও ফিরতে শুরু করেছেন। বিজিবির লে. কর্নেল মোরশেদ জানিয়েছেন, যারা আশ্রয় নিতে এসেছিলেন, তাদের বেশির ভাগই ফিরে গেছেন।

সর্বশেষ খবর