শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনে আইন করতে হবে

------ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনে আইন করতে হবে

‘ঢাকার ভিতরে ও চারপাশে প্রায় ৪৮টি খাল ছিল। কিন্তু এর মধ্যে অনেক খাল পরিকল্পিতভাবে দখল করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আর বর্জ্য ফেলায় অনেক খাল বদ্ধ হয়ে গেছে। এ খাল উদ্ধারে রাজউক, ওয়াসা, দুই সিটি করপোরেশন ও ঢাকা জেলা প্রশাসনকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে খাল রক্ষণাবেক্ষণে আইন করতে হবে।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মুঠোফোনে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ধোলাই খাল, ডিএনডি খাল নিশ্চিহ্নপ্রায়। নিকুঞ্জের চারপাশে যে পরিখা নির্মাণ করা হয়েছিল তা সংরক্ষণের অভাবে সংকুচিত হয়ে গেছে। এর মধ্যে নতুন খাল কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে শুধু জমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় হবে প্রায় সোয়া ৪ হাজার কোটি টাকা। আগের খালগুলোরই কোনো বন্দোবস্ত নেই; এটার ভবিষ্যৎ যে কী হবে তা পরেই দেখা যাবে।’ উচ্চ পর্যায়ের নজরদারি জোরদার করা প্রয়োজন উল্লেখ করে এই নগরবিদ বলেন, ‘ওয়াসা ও সিটি করপোরেশন এ খালগুলো উদ্ধারে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। কিছু খাল পরিষ্কার করলেও তা কাজে আসেনি। এজন্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। মেয়রদের দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রী পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। তাই খাল উদ্ধারে অগ্রগতি পেতে দরকার উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। আর খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধে জনগণের সচেতনতা প্রয়োজন। তাতে কাজ না হলে এ ক্ষেত্রে কঠোর আইন করতে হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর