রাত ১১টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যখন পা রাখে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল, তখন নিরাপত্তা কর্মীরা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছিল গোটা বিমানবন্দর এলাকা। সফরকারী অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিতেই এমন ব্যবস্থা। দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজ খেলতে রাতে অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে ঢাকায় পা রাখেন স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নাররা। দীর্ঘ ১১ বছর পর দলটি টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে। সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ খেলতে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে এসেছিল ২০০৬ সালে।
বহু নাটকের পর টেস্ট সিরিজ খেলতে ঢাকায় এলো অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের অক্টোবরে খেলার কথা ছিল দলটির। আতিথেয়তা দিতে প্রস্তুত ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তার অজুহাতে সফর স্থগিত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তবে বাতিল করার ঘোষণা দেয়নি তখন। শুধু জানিয়েছিল, পরবর্তীতে সুবিধাজনক কোনো এক সময়ে টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে। বাই লেটারাল সিরিজ খেলতে গতকাল ঢাকায় এলেন স্মিথরা। এবারও ভেস্তে যেতে বসেছিল সিরিজ। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের লভ্যাংশ বণ্টন নিয়ে ক্রিকেটার ও বোর্ডের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল। এতে ২৩০ ক্রিকেটার বেকার হয়ে গিয়েছিল ৩০ জুন। তখন মনে হচ্ছিল এবারও সিরিজ হচ্ছে না। এমন জটিল পরিস্থিতি সত্ত্বেও দুই পক্ষ অনড় অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ালে সিরিজটি আলোর মুখ দেখছে। ঢাকায় রওনা দেওয়ার আগে ডারউইনে মিডিয়ার মুখোমুখিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ সিরিজটি চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে বলেন, ‘ঘরের মাঠে বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আমরা আশা করছি স্পিন উইকেটে খেলতে হবে। সেই অর্থে আমাদের জন্য সিরিজটি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।’ স্মিথদের সফর শুরু হবে ২২-২৩ আগস্ট প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে। সফরে প্রথম টেস্ট মিরপুর স্টেডিয়ামে ২৭-৩১ আগস্ট এবং দ্বিতীয় টেস্ট ৪-৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে।