রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বেঁচে থাকলে জিয়াও আসামি হতো

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেঁচে থাকলে জিয়াও আসামি হতো

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে জিয়া বেঁচে থাকলে তার বিরুদ্ধেও মামলা হতো। মৃত মানুষের ওপর মামলা করার নিয়ম নেই বলে তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় যোগ করা হয়নি। হত্যা মামলা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। আর জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হয়েছে ১৯৮১ সালে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা : যাত্রা, অর্জন ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক সেমিনারে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, নবাব সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করা মীরজাফরের নাম যেমন ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, তেমনি খন্দকার মোশতাক নামটিও যদি এভাবে বিশ্বাসঘাতকের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার শুরু হয় তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ ব্যাপারে আরও পরিষ্কার হবে এবং ইতিহাসে তার বিশ্বাসঘাতকতা প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের মতো একটি কালো আইন কীভাবে সংসদে পাস হয়। আইনটি যেভাবে পাস হয়েছে, সেটাও একটা ইতিহাস। আইনটা খন্দকার মোশতাক ২৬ সেপ্টেম্বর করেন। কিন্তু এই আইনটাকে সরাসরি উল্লেখ করে সংসদে পাস করা হয়নি। সংসদে তখন একসঙ্গে কয়েকটি অর্ডিন্যান্সের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছিল, এগুলো মার্শাল ল’র সময়ের হলেও প্রয়োজনের জন্য এগুলো পাস করে দেওয়া হোক। ওই সময় ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বা এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে সংসদে আলাদা কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান আনিসুল হক। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সিআরআইয়ের ট্রাস্টি নসরুল হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুরা হোসেন, সাবেক সচিব ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর