বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বর্তমান কাঠামোই সুষ্ঠু ভোটে বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমান কাঠামোই সুষ্ঠু ভোটে বাধা

বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের পথে অন্তর্নিহিত বাধা। এ অবস্থায় স্বাধীন, নিরপেক্ষ ইসির পক্ষেও প্রতিযোগিতামূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সহজ হবে না। আরেকটি বিতর্কিত নির্বাচন হলে দেশ চরম সংকটে পড়বে। গত জাতীয় নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে। এখন এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোলটেবিলে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে করণীয়’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এ সময় বক্তব্য দেন বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল প্রমুখ। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, যতগুলো নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে, এর সবগুলোতেই ক্ষমতাসীনরা জয়ী হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে দলীয়করণ আরও চরম আকার ধারণ করেছে। তাই বিরাজমান সাংবিধানিক কাঠামোই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের পথে অন্তর্নিহিত প্রতিবন্ধকতা। এ অবস্থায় সবচেয়ে স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও প্রতিযোগিতামূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সহজ হবে না। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে আমরা পুলিশ-র‌্যাবকে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিই। কিন্তু আমরা অতীতে দেখেছি, তারাই সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’ কাজী এবাদুল হক বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইন-বিধি রয়েছে। নির্বাচনে জিততেই হবে এমন মানসিকতা পোষণ করলে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আইনগতভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে শক্তিশালী। সংবিধানেই তাদের বিপুল ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু সরকার শতভাগ সহায়তা করলেও কি ভালো নির্বাচন সম্ভব? দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু এর অন্তরায় হচ্ছে, রাজনৈতিক সংস্কৃতি। রাজনৈতিক দলগুলোকে ঠিক করতে হবে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় কি না। আবার ইসির ওপর সবার আস্থা না থাকলেও তাদের পক্ষে নির্বাচন করা কঠিন। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তিনি বেশ কিছু সুপারিশ রাখেন। এম. হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, নির্বাচন মানেই সুষ্ঠু নির্বাচন। বর্তমানে শুধু একটি দল নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ বাকিদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ইসি বলছে, তফসিল ঘোষণার পর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। এটা অবাস্তব। কারণ ৪৫ দিনের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

সর্বশেষ খবর