সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা

ডেথ রেফারেন্সের জন্য ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের রায় হাই কোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়সহ নথিপত্র হাই কোর্টে এসে পৌঁছেছে। ডেথ রেফারেন্সের জন্য (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) গতকাল রায়সহ নথিপত্র  সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছেছে। হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ বলেন, ডেথ রেফারেন্সের জন্য বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়সহ নথিপত্র এসেছে। এখন সংশ্লিষ্ট শাখা এসব ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত করবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার পেপার বুক (মামলা বৃত্তান্ত) প্রস্তুত করা হবে কিনা, সে জন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। গত ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মমতাজ বেগম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একই মামলায় একজনের যাবজ্জীবন ও তিনজনের ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া তিনজনকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন ১০ জন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ওয়াসিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান খান ওরফে শিমন খান, ইউসুফ ওরফে মোসহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে মুফতি রউফ ওরফে আবদুর রাজ্জাক ওরফে আবু ওমর। আসামিদের গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন মেহেদী হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদ। ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড পেয়েছেন আনিসুল ইসলাম ওরফে আনিস, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও সরওয়ার হোসেন মিয়া। ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুত্ফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা দেখতে পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই কোটালীপাড়া থানার পুলিশ হত্যাচেষ্টা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে। ২০১০ সালে গোপালগঞ্জ আদালত থেকে মামলা দুটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে গ্রেনেড হামলা ও তিনজনকে হত্যার মামলায় মুফতি হান্নানের ফাঁসি ইতিমধ্যে কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর