শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

শেখ আজিজের স্মৃতিশক্তি দিন দিন ক্ষয়ে যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ আজিজের স্মৃতিশক্তি দিন দিন ক্ষয়ে যাচ্ছে

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম শেখ আবদুল আজিজের স্মৃতিশক্তি দিন দিন কমছে। স্পষ্ট করে কিছু মনে করতে পারেন না। লোকজনকে চিনতে গেলে খুব কষ্ট হয়। প্রবীণ এই রাজনীতিকের বয়স ৮৮। বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি কাতর। রোগজর্জর শরীরে কোনোমতে জীবন বয়ে চলেছেন। শেখ আজিজ এ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নীতিনিষ্ঠা, আপসহীন সংগ্রাম ও স্পষ্ট ভাষণের জন্য স্বনামখ্যাত। পাকিস্তান আমলে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বহুবার কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অ্যাডভোকেট শেখ আজিজকে স্বাধীনতা ঘোষণা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। ’৭১ সালে তিনি ছিলেন ৯ নম্বর সেক্টরের লিয়াজোঁ অফিসার। দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয় তাতে শেখ আজিজকে তিনটি দফতরের মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়। এগুলো ছিল কৃষি, তথ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ। ’৭৫-পরবর্তী সময়ে শেখ আজিজ ছিলেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়ামের সদস্য।

একদা চৌকস জননেতা শেখ আবদুল আজিজ এখন ভালো করে চোখে দেখেন না। কানেও খুব কম শোনেন। চলাফেরা করতে হুইল চেয়ারের সাহায্য নিতে হয়। কয়েক বছর ধরে তিনি নানা রোগে ভুগছেন। বছরখানেক আগে স্ত্রী শওকত আরা মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুর পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এই নেতার স্বাস্থ্য দিন দিন ভেঙে পড়ে। গতকাল রাজধানীর গুলশানে ৭ নম্বর রোডে ৫ নম্বর বাড়িতে তার সঙ্গে দেখা করতে যান এই প্রতিবেদক। বাড়ির কেয়ারটেকার আবদুল বারেক বলেন, ‘স্যারের শরীর খুব খারাপ। সেজন্য ডাক্তাররা কারও সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছেন।’ বারেকের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাবিন শেখ মেঘলা এখন শেখ আজিজের দেখভাল করছেন। ডা. মেঘলা হচ্ছেন শেখ আজিজের ছোট মেয়ে। তার আরেক মেয়ে সিমিন শেখ যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি চাকরি করেন। সিমিন ওয়াশিংটনে প্রাইমারি শিক্ষা অফিসার। একমাত্র ছেলে শেখ আশিক হাফিজ পেশায় প্রকৌশলী। চাকরি করেন যুক্তরাষ্ট্রে।

শেখ আবদুল আজিজের জন্ম ১৯২৯ সালে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতি গ্রামে। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছেন এম এ। পরে আইনশাস্ত্রে পড়ালেখা করেন। এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর আইন পেশায় আত্মনিয়োগ করেন।

সর্বশেষ খবর