শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভবন সরাতে আরও এক বছর সময় চায় বিজিএমইএ

রুহুল আমিন রাসেল

ভবন সরাতে আদালতের কাছে এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করেছে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ। জানা গেছে, ঈদের আগেই ওই আবেদন করা হয়। নতুন ভবন তৈরিতে প্রয়োজনীয় সময় ও দেশি-বিদেশি বাস্তবতা বিবেচনা এবং রপ্তানি কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে অব্যাহত রাখতে এ সময় চাওয়া হয়। উত্তরায় সংগঠনটির নতুন ভবন তৈরিসহ এ সম্পর্কিত সার্বিক বিষয় তুলে ধরতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিজিএমইএ।  জানা গেছে, উত্তরায় নতুন ভবন তৈরি করতে সরকারের কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমি ১১ কোটি টাকায় কিনেছে বিজিএমইএ। এখন চলছে ওই জমিতে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ। নতুন ভবন নির্মাণ শেষে বিজিএমইএ তাদের কার্যালয় স্থানান্তর করতে চায়। তাদের যুক্তি হলো— পোশাকশিল্পের আমদানি-রপ্তানি সম্পর্কিত বেশ কিছু সরকারি কাজ বিজিএমইএ করে থাকে। বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জমি পেয়েছি। ভবন তৈরি করতে পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি। এর মধ্যে ভাড়া ভবন খুঁজছি। কিন্তু এত বড় ভবন কোথাও পাইনি। তাই নতুন ভবন নির্মাণ করে, পুরনো ভবন ছাড়তে আদালতের কাছে এক বছর সময় চেয়েছি। আমরা মনে করি— এ সময়ের মধ্যে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করে বর্তমান ভবন ছাড়তে পারব। এ বিষয়ে আদালতের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা আমাদের আছে। এর আগে বিজিএমইএ ভবন ভাঙা সংক্রান্ত আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি রাজউক পায় গত বছর ২৮ নভেম্বর। রায় অনুযায়ী নিজ খরচে ভবনটি ভাঙতে হবে বিজিএমইএ-কে। আর এ জন্য ৯০ দিন বা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত। অন্যথায় আদালতের রায় অনুযায়ী ভবন ভাঙবে রাজউক। সেই প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে রাজউক। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে ‘রিভিউ’ আবেদন করে বিজিএমইএ। বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে হাই কোর্টের দেওয়া নির্দেশ বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। তার আগে জমির স্বত্ব না থাকা এবং জলাধার আইন লঙ্ঘন করে রাজধানীর হাতিরঝিলের দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প এলাকায় নির্মিত বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে পাঁচ বছর আগে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ওই রায়ের পর বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে। আপিলের সেই আবেদন ২০১৬ সালের ২ জুন খারিজ করে রায় দেয় আপিল বিভাগ। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে বিজিএমইএ তাদের প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য সোনারগাঁও হোটেলের পাশে বেগুনবাড়ী খালপাড়ের এ জায়গাটি নির্ধারণ করে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো—ইপিবির কাছ থেকে ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকায় জমিটি কেনে। ওই বছরই বিজিএমইএ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষে ২০০৬ সালে ভবনটি উদ্বোধন করা হয়।

 

সর্বশেষ খবর