বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কর্নেলসহ র‌্যাব সদস্যদের বিচার শুরু

চট্টগ্রামে মাজারের দুই কোটি টাকা লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বহুল আলোচিত চট্টগ্রামের আনোয়ারার তালসরা দরবারের টাকা লুটের মামলার অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৩ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নূরে আলম এ আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সাবেক অধিনায়ক (বরখাস্ত) লে. কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সাবেক উপ-অধিনায়ক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকরিচ্যুত) শেখ মাহামুদুল হাসান মজুমদার, সুবেদার মোহাম্মদ আবুল বশর, এস আই তরুণ কুমার বসু, সোর্স মো. দিদারুল আলম, মো. আনোয়ার ও মানত বড়ুয়া। চট্টগ্রাম জেলা পিপি আ ক ম সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের পর আসামি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকরিচ্যুত) শেখ মাহমুদুল হাসান তা বাতিলের আবেদন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের আদেশে ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত ছিল। চলতি বছর ১৭ আগস্ট বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তালসরা দরবার শরিফে অভিযান চালায় তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে র‌্যাব-৭-এর একটি বিশেষ টিম। এ সময় দরবার থেকে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুটের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার প্রায় সাত মাস পর ২০১২ সালের ১৩ মার্চ দরবারের গাড়িচালক মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা করেন। ২০১২ সালের ১৫ জুলাই সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সামাদ। অভিযোগপত্রে ৪২ জনকে সাক্ষী করা হয়। ২০১২ সালের ৩০ জুলাই অভিযোগপত্রটি আদালতে নথিভুক্ত হয় এবং ২৮ আগস্ট গ্রহণযোগ্যতার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর পর থেকে হাই কোর্টের আদেশে মামলাটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

সর্বশেষ খবর