শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মাদার অব হিউম্যানিটি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মাদার অব হিউম্যানিটি

উখিয়া থেকে কুতুপালংয়ের রাস্তা। এটি রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পের রাস্তা। দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ। তারা অপেক্ষা করছে একজন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ (মানবতার জননী)-কে স্বাগত জানানোর জন্য। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বর্ণনা লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম চ্যানেল ফোর টেলিভিশনের। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী যখন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান তার বর্ণনা করতে গিয়েই এই বিশেষণ ব্যবহার করেছেন চ্যানেল ফোরের এশিয়া করেসপনডেন্ট জনাথন মিলার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে চ্যানেল ফোরের এই সংবাদ ভিত্তিক ভিডিওটি। অবশ্য চার লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে অনন্য দৃষ্টি স্থাপন করায় পরে আরও কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে একই বিশেষণ দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম চ্যানেল ফোরের এই সংবাদ ভিডিওতে বলা হয়, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করে প্রত্যেকের কাহিনী শোনেন মনোযোগ দিয়ে। হাত দিয়ে জড়িয়ে রাখেন আনাসকে। মিয়ানমার আর্মির গুলিতে আরাকানের লাবানা গ্রামের নয় বছর বয়সী আনাসের নাক ক্ষতবিক্ষত। এই আনাসকে ধরে দাঁড়িয়ে নির্যাতনের কথা শোনেন শেখ হাসিনা। পরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও পরিচয় প্রদানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার ভূমিকায় সত্যিকার অর্থেই কৃতজ্ঞ রোহিঙ্গারা। পরে শেখ হাসিনা বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের যে উত্তর দেন তাও উঠে আসে প্রতিবেদনে। সেখানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবতার কারণে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। মানুষের এমন বিপদে আমরা তো আর তাদের দূরে ঠেলে দিতে পারি না। যতদিন মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে না নেবে আমরা আশ্রয় দেব বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। চ্যানেল ফোরের ফেসবুক পাতায় এই ভিডিওটি গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই লাখ ৬৯ হাজার ৫১৭ বার দেখা হয়েছে। কমেন্ট পড়েছে এক হাজার। সেখানে ওয়াই ওয়েন্সটন মিন নামের এক নারী লিখেছেন, ‘না বাংলাদেশ, তোমরা কোনোভাবেই গরিব নও, বরং তোমরা হৃদয়ের দিক থেকে অনেক ধনী। বাংলাদেশের মতো অতিথিপরায়ন দেশে আমি যতক্ষণ ছিলাম তার পুরোটা সময়ই মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কথিত ধনী রাষ্ট্রগুলোর শিক্ষা নেওয়া উচিত।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর