বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মানি ও মাসল পাওয়ারে ধ্বংস গণতন্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানি ও মাসল পাওয়ারে ধ্বংস গণতন্ত্র

ড. কামাল হোসেন

জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকার ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে গণফোরাম। গতকাল বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির সঙ্গে দলটির সংলাপে ২২ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। গণফোরামের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী মতবিনিময় শেষে কামাল হোসেন বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকবে ও যে প্রশাসন থাকবে, তাদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। আমরা কমিশনকে বলেছি, যেন আইনের সঠিক প্রয়োগ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি বলেন, “দুই ‘এমপি’ই সুষ্ঠু ভোটে অন্যতম বাধা—একটা মানি পাওয়ার ও অন্যটি মাসল পাওয়ার। এ দুই এমপির জন্য দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে। গণতন্ত্র রক্ষায় দুই এমপি আমাদের গণতন্ত্রকে আঘাত দিয়েছে তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি ৪৬ বছর। দুই এমপি থেকে জনগণ তাদের ভোটাধিকার বাঁচাতে পারে। কীভাবে দুই এমপি থেকে বাঁচা যাবে তার জন্য আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।” কমিশন গণফোরামের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনেছে ও প্রশংসা করেছে বলে জানান কামাল হোসেন। ড. কামাল বলেন, ভোটের সময় প্রশাসনকে কীভাবে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করা যায় তা আলোচনা করেই নির্ধারণ করতে হবে। প্রশাসনকে হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে হবে। গণফোরামের ২২ দফা দাবির অন্যতম হচ্ছে—প্রবাসীদের ভোটাধিকার, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি, কালো টাকার খেলা বন্ধ, ঋণখেলাপিদের জামিনদারকে নির্বাচনে অযোগ্য, নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার বন্ধ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন চান কি না—জানতে চাইলে গণফোরাম পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আইনি সংজ্ঞায় রাখতে বলেছি আমরা। তবে যখন প্রয়োজন হবে তখনই সেনা মোতায়েন করতে হবে। সশস্ত্র বাহিনী ইসির নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’

সর্বশেষ খবর