শিরোনাম
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সারা দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে গতকাল বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে ইসলামী ঐক্যজোট সমাবেশ ও মিছিল বের করে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। গতকাল বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ শেষে পল্টন মোড় ও আশপাশের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। মিছিল-সমাবেশে বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মুসল্লি অংশ নেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। সেখানে মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেছে। সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়োগ করতে হবে এবং নিরাপদ জোন গড়ে তুলতে হবে। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মুফতি আবু তৈয়ব হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আবুল কাশেম, শেখ লোকমান হোসাইন প্রমুখ।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : দুই দিনের ত্রাণ কার্যক্রম শেষে ঢাকায় ফিরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক গতকাল দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের চরম মানবিক বিপর্যয় ও মৃত্যু রোধ করতে এখনই ব্যাপক সংখ্যক সেনা ও বর্ডার গার্ড নিয়োজিত করে বিপুলসংখ্যক এতিম শিশু এবং মহিলাসহ আশ্রয় গ্রহণকারীদের খাদ্য, চিকিৎসা, খাবার পানি ও শিশুখাদ্যসহ সমগ্র ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। একই সঙ্গে অতিমাত্রায় ধীরগতির নিবন্ধন কার্যক্রমকেও সেনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে দিয়ে শরণার্থীদের সরকারি ত্রাণসামগ্রীসহ অন্যান্য সুবিধাপ্রাপ্তির পথ সুগম করতে হবে। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শিশুখাদ্যসহ খাদ্য সামগ্রী, খাবার পানির জন্য টিউবওয়েল স্থাপন, বহু সংখ্যক ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং তাঁবুর ব্যবস্থা করা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা আবদুল আজিজ, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া, মাওলানা এনামুল হক মুসা প্রমুখ।

ইসলামী সমাজ : সংগঠনের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন-ই (আরাকান’ই) রোহিঙ্গা মুসলমানদের মাতৃভূমি এবং বসবাসের যথাযথ স্থান। তিনি মিয়ানমারে পৈশাচিক গণহত্যা বন্ধ, রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন ও বিতাড়ন বন্ধ এবং সসম্মানে বিতাড়িত সব শরণার্থী রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে সব নাগরিক অধিকারসহ শান্তিপূর্ণ বসবাসের সুব্যবস্থা করার লক্ষ্যে বিশ্বের সব রাষ্ট্রের নেতা ও অধিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ বলিষ্ঠ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। ত্রাণ বিতরণ শেষে গতকাল সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। তিনি জানান, ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ ইয়াছিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের টিম প্রতি পরিবারে নগদ ৩০০ টাকা হিসেবে ৫৩০টি পরিবারকে অর্থ প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ খবর