শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিশ্ব বাণিজ্যে অবদানে প্রস্তুত বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব বাণিজ্যে অবদানে প্রস্তুত বাংলাদেশ

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন দক্ষতার সঙ্গে বিশ্ববাণিজ্যে অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত। বাংলাদেশ প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে ‘ইউএনঅ্যাস্কাপ’-এর অধীন ‘ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট অন ফেসিলিটেশন অব ক্রস বর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইন এশিয়া অ্যান্ড দি প্যাসিফিক’-এ ২৯ আগস্ট স্বাক্ষর করেছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশ। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়া ইউরোপ মিটিং (আসেম)-এর সপ্তম ইকোনমিক মিনিস্টারস মিটিং (ইএমএম)-এর দ্বিতীয় প্লেনারি সেশনে স্ট্র্যানদেনিং ইকোনমিক কানেকটিভিটি বিষয়ে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ১৩ কোটি ৩২ লাখ লোক মোবাইল ফোন, প্রায় ৭ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে প্রায় ৮০ ভাগ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে ২০ ভাগ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এ সময় দেশের রপ্তানি হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে দেশের রপ্তানি প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, দেশের সপ্তম-পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় তথ্যপ্রযুক্তিসহ বেশ কিছু খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে রপ্তানি পণ্য বৃদ্ধি এবং রপ্তানিবাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আধুনিক ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে ই-কানেকটিভিটি স্থাপনে বাংলাদেশ সক্ষম। মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ দ্বিতীয় সাইবার ক্যাবলে যুক্ত হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফোর-জি চালু হবে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা দেওয়ার জন্য দেশব্যাপী পাঁচ হাজারেরও বেশি ডিজিটাল সেন্টার চালু করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হলে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। বাণিজ্য জটিলতা হ্রাস, জ্বালানির সহজ প্রাপ্তি, তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ সহজ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অনলাইনে বেশির ভাগ সেবা গ্রহণ করছেন। বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সেবা প্রদানকারী অফিসগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে।’ তোফায়েল বলেন, ‘সরকারি দফতরগুলোকে ই-গভর্নেন্সের আওতায় এনে পেপারলেস করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।’

সর্বশেষ খবর