রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

জঙ্গি অর্থায়নে গ্রেফতার ১১

তামিমকে ৫০ হাজার ডলার দিতে চেয়েছিল আইব্যাক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগে সফটওয়্যার কোম্পানি ওয়াইমির সাতজনসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। শুক্রবার বিকালে র‌্যাবের তিনটি দল একযোগে অভিযান চালিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। তারা হলেন হেলাল উদ্দিন (২৯), আল আমিন (২৩), ফয়সাল ওরফে তুহিন (৩৭), মঈন খান (৩৩), আমজাদ হোসেন (৩৪), নাহিদ (৩০), তাজুল ইসলাম (২৭), জাহেদুল্লাহ (২৯), আল মামুন (২০), আল আমিন (২৩) ও টলি নাথ (৪০)।

গতকাল কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে    র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘স্পেনের আইটি কোম্পানি সিনটেল ও বাংলাদেশের ওয়াইমি একই মালিকের প্রতিষ্ঠান। মালিকের নাম আতাউল হক সবুজ। তিনি স্পেনে বসবাস করেন। তার কোম্পানি সিনটেকের মাধ্যমে ওয়াইমিতে অর্থ পাঠাত; যার ৪৭ শতাংশ বেতন ও অবকাঠামোগত কাজে ব্যয় হতো। বাকিটা জঙ্গিবাদে অর্থায়ন হতো।’ র‌্যাব বলছে, গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশই আগে আইব্যাক লিমিটেড নামের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আইব্যাকের চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম সুজন। তিনি ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর সিরিয়ায় বিমান হামলায় নিহত হন। পরে প্রতিষ্ঠানটির মালিক হন তার ভাই আতাউল হক সবুজ। জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ ওঠায় ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর আইব্যাক বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ইউকেস্থ অফিস আইব্যাক বন্ধ করে দেয়। আইব্যাকে আগের কর্মরতরা পরে ‘ওয়াইমি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন।

সূত্র আরও বলছেন, ২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার ডলারসহ নাহিদ নামের এক ব্যক্তি গ্রেফতার হন। ওই টাকা বাশারুজ্জামান চকলেট হয়ে নব্য জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা কানাডার নাগরিক নিহত তামিম আহমেদ চৌধুরীর কাছে যাওয়ার কথা ছিল বলে ওই ব্যক্তি র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। ওই ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলাও হয়েছিল। ওই মামলায় সুজন ও সবুজের বাবা হাসনাত কারাগারে মারা যান। ওই মামলায় বর্তমানে চার আসামি জামিনে বাইরে রয়েছেন; তবে দুজন শুক্রবার রাতের অভিযানে গ্রেফতার হন।

কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘এ অভিযানের অন্য একটি নতুন মাত্রা আছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যখন নিশ্চিত হই যে বাংলাদেশি এক নাগরিক স্পেনে থেকে জঙ্গি কাজে জড়িত আছেন। তারপর বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে স্পেনের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং তাকে সেখানেই চিহ্নিত করা হয়। পরে বাংলাদেশে যখন অভিযান হচ্ছিল, একই সময় স্পেনে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আতাউল হক সবুজকে গ্রেফতার করেন। সবুজের স্ত্রীও স্পেনে বাস করেন। তার বিরুদ্ধেও সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর