বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাকে আওয়ামী লীগ সাড়া না দেওয়ার ঘটনাকে ক্ষমতাসীনদের ব্যর্থতা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সাবেক চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডকে কেন গণহত্যা বলেননি? কেন মিয়ানমারের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাননি? এসব দেখেই বোঝা যায়- প্রধানমন্ত্রী এখনো সেই বশংবদ রাজনীতিতে আছেন। এখনো আপনারা ভয় পান এজন্য যে, মিয়ানমারকে যারা সমর্থন দিচ্ছে- তারা যদি বিরাগভাজন হয়ে যায়! এটাই হলো আসল কারণ। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপিকা রেহেনা প্রধান, জাতীয় পার্টির এস এম এ আলম, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট হোসনে আরা আহসান, আহসান হাবিব লিংকন, মোস্তফা জামাল হায়দার, কাজী জাফর আহমদের বড় মেয়ে কাজী জয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এর আগেও রোহিঙ্গারা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে দুবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। তখন তৎকালীন সরকার প্রধান হিসেবে জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীকালে বেগম খালেদা জিয়া তাদের প্রথমে আশ্রয় দিয়ে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। এবারও বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডন থেকে বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে পরবর্তীতে ফেরত পাঠানোর কথা বলেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আজকে এই জিনিসগুলো উপলব্ধি করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা এ বিষয়ে এখনো কোনো জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে পারেনি। আমরা এ কথা বললে তারা বলেন- বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হবে না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত ও চীনের অবস্থানের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে গণচীনের পাশে এক সময় সারা বিশ্ব ছিল- তারা এই সংকট বুঝতে পারছে না। যে ভারত একাত্তরে আমাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতা দেখিয়েছে- তারাও এই সংকট বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে। তবে জাতিসংঘ, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশ ও কূটনীতিকরা এ সময় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়েছেন, ত্রাণ নিয়ে আসছেন- তাদের ধন্যবাদ জানান মির্জা ফখরুল।