বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আনান কমিশনের রিপোর্টে সুরাহা

—মোহাম্মদ আলী শিকদার

আনান কমিশনের রিপোর্টে সুরাহা

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেছেন, কফি আনান কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলেই           স্থায়ী একটা সমাধান হতে পারে। এ রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে বিশ্বজনমত তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ রিপোর্ট বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন। এ জন্য বাংলাদেশের এখন কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে। গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘ আলাদা কমিটি গঠন ও পর্যবেক্ষণ টিম গঠন করে দিতে পারে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একসঙ্গে টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান হতে পারে। জাতিগত সংকট শুধু মিয়ানমারের মধ্যে নয়, এটা আফ্রিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হয়েছে। আমাদের এখন থেকেই সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। নইলে আমাদের দেশের জন্য এর প্রভাব হবে বড়।’ বাংলাদেশের এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারে সেফজোন স্থাপনের কথা বলেছেন। এতে যদি মিয়ানমারকে রাজি করানো যায় তাহলেও সমস্যা সামাধান করা যাবে। তখন সমস্যাটা আমাদের নয়, বিশ্ব সম্প্রদায় দেখবে।’ তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমারের বহু রকমের সমস্যা থাকতে পারে। সেটি আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হোক বা না হোক। তাদের সমস্যা হতে পারে।

 কিন্তু সেগুলো সমাধান করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, যা কিছুই করা হোক না কেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করতে হবে। রাষ্ট্র, জাতিসহ প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে, শান্তিপূর্ণভাবে ছাড়া এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। এখানে সামরিক শক্তি, বল প্রয়োগ কিংবা গায়ের জোরে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। কারণ রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জেগে উঠেছে। সবাই আমাদের সমর্থন দিচ্ছে। পাশে রয়েছে। এখানে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু করা যাবে না। তাহলে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন হারাব। ফলে রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘ হবে। এতে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে পুঞ্জীভূত রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো সমাধান হবে না।’

মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘বাংলাদেশকে মিয়ানমারের গণহত্যার বিরুদ্ধে যেমন কথা বলতে হবে, তেমনি সন্ত্রাস, জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে। গণহত্যা ও জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সমান জায়গা থেকে কথা বলতে হবে। কারণ আমরা যেমন দেখছি মিয়ানমার গণহত্যায় লিপ্ত, তেমনি তারা অভিযোগ করছে জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আমাদের দুটোর বিরুদ্ধেই কথা বলতে হবে।’

সর্বশেষ খবর