বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আলটিমেটাম দিতে পারে জাতিসংঘ

বাংলাদেশের বক্তব্য শুনবে নিরাপত্তা পরিষদ, আজ রুদ্ধদ্বার বৈঠক, নয় কূটনীতিকের সঙ্গে বসলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ঢাকায় ব্যস্ত তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী ও জাপানি উপমন্ত্রী, আসছে সু চির প্রতিনিধি দল, রাখাইন অধিগ্রহণে মিয়ানমার সরকার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

আলটিমেটাম দিতে পারে জাতিসংঘ

কক্সবাজারের বালুখালীতে গতকাল রোহিঙ্গাদের লাইন —রোহেত রাজীব

সহিংসতা বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বানের পরও রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করেনি মিয়ানমার। এমন পরিস্থিতিতে সাত সদস্য-দেশের আগ্রহে আজ আবার বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদ। উন্মুক্ত আলোচনা হওয়ায় এতে অংশ নিতে পারবে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারও। ধারণা করা হচ্ছে, নিরাপত্তা পরিষদে উন্মুক্ত বিতর্কের পর রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে নিরাপত্তা পরিষদ। এতে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে দেওয়া হতে পারে আলটিমেটাম। প্রস্তাব গৃহীত হলে মিয়ানমারের জন্য তা পালন করা হবে বাধ্যতামূলক। না হলে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে কথিত গণতান্ত্রিক সংস্কারে থাকা মিয়ানমারকে। এর আগে ৩০ আগস্ট ও ১৪ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা নির্যাতন ইস্যুতে বৈঠক করেছিল নিরাপত্তা পরিষদ। জানা যায়, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য-রাষ্ট্রগুলোকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বাংলাদেশে থাকা নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে নয়টি সদস্য-দেশের দূতাবাসের প্রধানদের ঢাকায় ব্রিফিং করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া, সুইডেন, জাপান, ইতালি ও মিসরের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশনপ্রধানরা। বৈঠকের পর উপস্থিত কূটনীতিকদের মতামত জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা সবাই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য না হলেও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সেখানে সরকারের বক্তব্য তুলে ধরবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে যে পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন, মূলত এর ভিত্তিতেই নিরাপত্তা পরিষদের বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হবে।’ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক থেকে বাংলাদেশ কী প্রত্যাশা করছে— জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ চায় শান্তিপূর্ণ সমাধান। এমন একটি ব্যবস্থা করা হোক, যাতে রোহিঙ্গারা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে।’ বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের তিন স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং অস্থায়ী সদস্য মিসর, কাজাখস্তান, সেনেগাল ও সুইডেন রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর পরিচালিত অভিযানের বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছ থেকে শুনতে চায়। মূলত তাদের আগ্রহেই এবারের বৈঠক হচ্ছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ব্রিফ করবেন। উন্মুক্ত বিতর্কে জাতিসংঘের সব সদস্য-দেশেরই অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে। ফলে বাংলাদেশের পাশাপাশি মিয়ানমারও এ বিতর্কে অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য এই উন্মুক্ত বিতর্কের প্রস্তুতিস্বরূপ গতকাল নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। এতে উন্মুক্ত বিতর্কের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে এবারও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এ আলোচনায় কোন ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ এর আগের দুটি বৈঠকে বিবৃতি ছাড়া গঠনমূলক কিছুই জানানো হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য-রাষ্ট্রের তিনটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স জোরালো অবস্থান নিয়েছিল মিয়ানমারের বিরুদ্ধে। কিন্তু বাকি দুই রাষ্ট্র চীন ও রাশিয়া রয়েছে মিয়ানমারের পক্ষে। এখন ঢাকার কর্মকর্তারা বলছেন, চীন ও রাশিয়াও নমনীয় হয়েছে।

২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সীমান্তরক্ষী পুলিশের সঙ্গে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ হয়। একে ঘিরে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো লক্ষ্য করে বিতাড়ন অভিযান শুরু করে। অভিযানকালে সেনারা নির্বিচারে হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন শুরু করায় প্রাণ বাঁচাতে ৪ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে রাখাইনে নিহত হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশ, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাখাইনে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ করেছে। নিরাপত্তা পরিষদ থেকে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হলেও কর্ণপাত করেনি মিয়ানমার। সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত আছে। আবার নতুন করে দুই দিনে প্রায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। ফলে গত এক মাসে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন এলাকা অধিগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার সরকার।

পাশে থাকার অঙ্গীকার উদ্বিগ্ন জাপানের : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের সংকটের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাপান। এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার জানিয়েছে দেশটি। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে এক প্রাতরাশ বৈঠক শেষে জাপানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওয়াও হরি এ আশ্বাস দেন। শাহরিয়ার আলম জানান, বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন ও শরণার্থী সমস্যার টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ জাপানকে পাশে চায় বলে আইওয়াও হরিকে জানান তিনি। জবাবে জাপানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়। এ ছাড়া পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন জাপানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী। জানা যায়, গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছান জাপানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওয়াও হরি। বাংলাদেশ সফরের আগে আইওয়াও হরি মিয়ানমার সফর করেন। সেখানে তিনি সু চির সরকার ও দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি রাখাইন রাজ্য সফর করেন। সেখানে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের ক্যাম্প (আইডিপি ক্যাম্প) পরিদর্শন করেন তিনি। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাপান খুবই সতর্ক অবস্থানে আছে। তারা কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করার পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করলেও তেমন কিছুই বলেনি। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য জাপান ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সমাধান মনে করছে ঢাকা : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো তুলে ধরে এটি নিরসনে পাঁচ দফা প্রস্তাব বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন। এতে বলা হয়েছে : অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’ নিঃশর্তে বন্ধ করা; অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘ মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করা; জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা; রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত সব রোহিঙ্গার মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও চলবে মিয়ানমারের সঙ্গে : রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যে মিয়ানমারের মিনিস্টার অব দি অফিস ও স্টেট কাউন্সেলর কিও তিন্ত সোয়ে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দফতরের এই মন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যদিও সফরের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সফরের সময় তাকে কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার প্রস্তাব দেওয়া হবে। বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সব বন্ধুরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছে। ফলে এতে আন্তর্জাতিক চাপ কমবে না। বরং মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নিলে আমরা বলতে পারব যে, আমরা দ্বিপক্ষীয় চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। তাই নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন।’

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ নেবে তুরস্ক : তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী নুমান কার্তালমা গতকাল সকালে বিশেষ বিমানে ঢাকা এসে পৌঁছান। পরে দুপুরে বিমানে কক্সবাজার পৌঁছে সড়কপথে গিয়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ নেবে তুরস্ক। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে তুরস্ক সব সময় থাকবে। কক্সবাজারে তুর্কি উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, মিয়ানামার থেকে আগত প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের জন্য ২০ থেকে ২৫ হাজার শেল্টার তৈরির আশ্বাস দিয়েছে তুরস্ক সরকার। পরে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ফোরামে তুরস্ক কাজ করছে বলে জানান সফররত উপপ্রধানমন্ত্রী।

ঢাকায় ব্রিটিশ দুই মন্ত্রী : বিভিন্ন পর্যায়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি আলোচনার জন্য ব্রিটিশ সরকারের দুজন মন্ত্রীও গতকাল রাতে ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ব্রিটিশ সরকার সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সামরিক অভিযান বন্ধ করার কথা বলছেন উচ্চকণ্ঠে। যতক্ষণ পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে ততক্ষণ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রশিক্ষণ বন্ধ রেখেছেন তিনি। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রবিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে বিভিন্ন ভোকেশনাল কোর্স, ভাষা প্রশিক্ষণ, সুশাসন, জবাবদিহি, জাতিগত, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় ব্রিটেন। তবে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না। ওদিকে মিয়ানমারকে দেওয়া এসব প্রশিক্ষণ বন্ধ করতে ৬ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনকে চিঠি লিখেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রায় দেড় শ সদস্য।

সর্বশেষ খবর