শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

করাচি চেন্নাইকে পেছনে ফেলল চট্টগ্রাম বন্দর

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

করাচি চেন্নাইকে পেছনে ফেলল চট্টগ্রাম বন্দর

ভারতের চেন্নাই ও পাকিস্তানের করাচি সমুদ্রবন্দরকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। লন্ডনভিত্তিক বিশ্বের প্রাচীনতম জার্নাল ‘লয়েড লিস্ট’-এর সূচক অনুযায়ী চলতি বছর পৃথিবীর ব্যস্ততম ১০০ সমুদ্রবন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর রয়েছে ৭১তম স্থানে। গত বছরের চেয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়ে এই অবস্থানে এসেছে বন্দরটি। ২০১৬ সালে লয়েড লিস্টে দেশের বৃহত্তম এই সমুদ্রবন্দরের অবস্থান ছিল ৭৬তম স্থানে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বন্দরের পরই চট্টগ্রাম বন্দরের স্থান। লয়েড লিস্টে সিডনি বন্দর রয়েছে ৭০তম স্থানে। ব্যস্ততম বন্দরের দিক থেকে ভারতের চেন্নাই ও পাকিস্তানের করাচি সমুদ্রবন্দরকে পেছনে ফেলেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এবারের লয়েড লিস্টে করাচি বন্দর রয়েছে ৭৭তম স্থানে। আর ভারতের চেন্নাই বন্দর রয়েছে ৯৩তম স্থানে। অর্থাৎ করাচি বন্দর থেকে ছয় ধাপ ও চেন্নাই বন্দর থেকে ২২ ধাপ এগিয়ে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। চীনা বন্দর সাংহাই ৩৭ দশমিক ১৩ মিলিয়ন টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে র্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছে। এই ইতিবাচক তথ্যটি সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভায় অবহিত করেছেন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের সভাপতিত্বে ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এম খালেদ ইকবাল বলেন, বিশ্বের ১০০ বন্দরের মধ্যে ২০০৮ সালে চবকের স্থান ছিল ৯৮, যা ২০১৪-তে ৮৬, ২০১৬-তে ৭৬তম স্থানে পৌঁছায়। অর্থাৎ নয় বছরে ২৭ ধাপ এগিয়ে এ বছর ৭১তম স্থান অধিকারের গৌরব অর্জন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। চবক চেয়ারম্যান বলেন, রূপকল্প-২০২১-এ মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে বছরে ৩৫ দশমিক ৯৫ লাখ টিইইউএস (টোয়েন্টি ফিট ইকুইভ্যালেন্ট কনটেইনার) হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যে যে পরিমাণ জেটি, ইয়ার্ড, বার্থ ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তা চবকের নেই। তবে সে লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। খালেদ ইকবাল বলেন, কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিংসহ বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং টিন কারশেড শিফট করা হয়েছে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেছে। এটি নির্মিত হলে ৭৫০ মিটার অতিরিক্ত জেটি পাওয়া যাবে। ২০১৯ সালে এর কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে জানান চবক চেয়ারম্যান। এ ছাড়া নিউমুরিং ওভার-ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণ, বে টার্মিনাল নির্মাণের কথাও জানান তিনি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের ৯৮ ভাগ কার্যক্রম চলে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। ২০১৬ সালের ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৯ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে এই বন্দরের মাধ্যমে। আগের বছর ২০১৫ সালে ২০ লাখ ২৪ হাজার ২০৭ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল। কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর