বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফের নৌকা ডুবি ২৯ লাশ উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় ১৪ জনের লাশ ভেসে এসেছিল। ফলে গত দুই দিনে এ পর্যন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯ জনে। সোমবার রাত ১০টা থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত এসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে রাতে সাবরাং মুন্ডার ডেইল এলাকায় ১ জন, টেকনাফ সদরের হাবিরছড়ায় ৪ জন, লম্বরী এলাকায় ৪ জন, বাহারছড়া পয়েন্টে ৩ জন ও সেন্ট মার্টিন্সে ৩ জন রোহিঙ্গা শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রাখাইন রাজ্যের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে গত রবিবার সন্ধ্যায় নারী, শিশুসহ ৬০ রোহিঙ্গা ইঞ্জিনচালিত ওই নৌকায় করে টেকনাফে আসছিল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহপরীরদ্বীপের ঘোলাপাড়া উপকূলে নৌকাটি ডুবে যায়। এ ঘটনার পর থেকে সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত শাহপরীরদ্বীপের দুটি পয়েন্টে ১৪ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। জীবিত উদ্ধার হওয়া সৈয়দ হোসেন বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কারণে ৬০ জনের বেশি রোহিঙ্গা শিশু নারী পুরুষ নৌকা নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছিল। নাফ নদের ঘোটার চলে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। বিজিবি ও কোস্টগার্ড টহল দল এ সময় ১৮ জনকে উদ্ধার করে। পরে সাগরে বিজিবি ও কোস্টগার্ড তল্লাশি অভিযান শুরু করে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন খান জানান, শাহপরীরদ্বীপ, সেন্ট মার্টিন্স, সাবরাং ও টেকনাফ সদর পয়েন্ট  থেকে গত দুই দিনে ২৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।

বেওয়ারিশ হিসেবে মৃত রোহিঙ্গাদের স্ব স্ব পয়েন্টে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।  প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে নাফ নদ এবং বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গেও প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। ২৯ আগস্ট থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বহনকারী ২৫টি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৬২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি। তিনি নৌকার মাঝি ছিলেন। উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে উখিয়া থেকে ২৮ এবং টেকনাফ থেকে ১৩৪ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৩ শিশু, ৫২ নারী ও ২৭ জন পুরুষ।

সর্বশেষ খবর