শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

অবশেষে সেই রফিক আটক, জেলহাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে সেই রফিক আটক, জেলহাজতে

জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তত্পরতায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম ওরফে কাজী রফিক মিয়া (৩৯) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার র‌্যাব তাকে আটক করে রাজধানীর ভাটারা থানায় সোপর্দ করে। গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।  

রফিক মিয়ার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের আলীনগরে। তার পিতা মৃত কাজী গোলাম হোসেন। তিনি কোথাও রফিকুল ইসলাম, কোথাও মো. রফিক আবার কোথাও কাজী রফিক মিয়া। সব নামেই তার বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় মামলা এবং জিডি রয়েছে। তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি ও জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ভাটারা থানায় আইসিটি অ্যাক্টে রফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের ঘিওর থানায়ও তার বিরুদ্ধে একটি জিডি হয়েছিল। ২০১৪ সালে ১১ আগস্ট রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার খাগ্রাটা গ্রামে সরকারি রাস্তার পাশে দুজনকে সঙ্গে নিয়ে শাহানুর আলম নামে একজনকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন রফিকুল। শাহানুরকে আঘাত করে তার সোনার চেনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ছিনতাই করেন এবং ভয় দেখান। এর আগে ৩ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে সিংজুরী ইউনিয়নের চর মাইজখাড়া টেকনিকেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের টিনশেড বিল্ডিংয়ে আগুন দেন। এসব ঘটনায় ঘিওর থানায় রফিকুলের বিরুদ্ধে আরও দুটি অভিযোগ পাওয়া যায়। শুধু মানিকগঞ্জই নয়, ঢাকার বিভিন্ন থানায় প্রতারণা, ছিনতাই, যৌন হয়রানি ও জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়াসহ নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তায়েবুর রহমান টিপু নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, রফিকুল এলাকায় নিজেকে কখনো যোগাযোগমন্ত্রী, কখনো স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, আবার কখনো স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন এবং বিভিন্নজনকে হুমকি দেন। এমনকি তার পরিবারকেও মোবাইলফোনে এসএমএস পাঠিয়ে প্রাণনাশসহ মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়েছেন। তার সঙ্গে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্যতা আছে বলে প্রচার করেন।

সর্বশেষ খবর