শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিএনপির প্রস্তাব হবে মাইলফলক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির প্রস্তাব হবে মাইলফলক

একাদশ সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে বিএনপি একটি ‘সামগ্রিক প্রস্তাবনা’ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা বড় টিম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে যাব, সেখানে লিখিতভাবে আমাদের সব প্রস্তাব তাদের সামনে তুলব। ইট উইল বি এ ভেরি কমপ্রিহেনসিভ। আমি মনে করি যে, এটা (প্রস্তাবনা) একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। গতকাল সকালে শান্তিনগরে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য অসুস্থ তরিকুল ইসলামের বাসায় তাকে দেখতে ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করতে যান মির্জা ফখরুল। তখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলও ছিলেন। মির্জা ফখরুল শান্তিনগরের ইস্টার্ন পয়েন্ট অ্যাপার্টমেন্টে তরিকুল ইসলামের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়ার সময় তরিকুলের স্ত্রী নার্গিস বেগম ও ছেলে অনিন্দ্র ইসলাম অমিত উপস্থিত ছিলেন। পরে অসুস্থ তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। এমনকি সিপিবি বলেছে, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, একই কথা অন্যান্য দলও বলছে। এখন বিষয়টা নির্ভর করছে সরকার এটা কীভাবে নেবে। আমরা চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সংসদ বিলুপ্তির কথা সুস্পষ্টভাবে বলব, সেনাবাহিনী নিয়োগের কথা বলব। নির্বাচনকালীন সময়ে যখন তফসিল ঘোষণা হবে, তখন প্রশাসনকে যে ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে সে বিষয়েও বলব। আরপিওর কোথায় সমস্যা আছে সেটা বলব এবং ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম চালু করা উচিত ডিটেলস প্রস্তাবনায় থাকবে। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেও নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করলে ‘কিছুটা হলেও সুষ্ঠু নির্বাচন’ সম্ভব বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, সরকার প্রধানের ক্ষেত্রে আমাদের কথা বলেছি যে, এটা এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, এখানে একটা পরিবর্তন আসা দরকার। তারা (ক্ষমতাসীনরা) সংবিধানে  যেসব সংশোধনী করেছে, সেই সংশোধনীর মধ্য দিয়ে এই নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হবে— সেটাও কিন্তু প্রশ্ন থেকেছে। যেমন পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হবে না। পার্লামেন্ট বিলুপ্ত না করলে কীভাবে নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে? আমাদের এখানে একটা ট্র্যাডিশন হয়ে আসছে, মানুষের মধ্যে একটা সাইকি তৈরি হয়েছে, সেনাবাহিনী নিয়োগ না করলে নির্বাচনে সুষ্ঠু অবস্থা আশা করা যায় না। এই বিষয়গুলো আমরা বলেই আসছি, সংলাপেও বলব। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ ও নানা নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়নের অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি স্পেকুলেট করতে পারি কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। পথ বের করতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারি। মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেব না। আমরা তাদের ধারণাটা দেব। আমরা এটা বলব যে, এটা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। রূপরেখাটা পরে দেব। তিনি বলেন, এটা গোটা জাতির কাছে পরিষ্কার যে প্রধান বিচারপতিকে সরকার জোর করেই বিদেশে পাঠানোর সব ব্যবস্থা করেছে। সবার কাছে এটা অত্যন্ত স্পষ্ট সরকার চেষ্টা করছে পুরোপুরিভাবে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। অলরেডি তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে।

সর্বশেষ খবর