রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রতিক্রিয়া

সত্য কথা বলে গেছেন সিনহা

------ মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সত্য কথা বলে গেছেন সিনহা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিদেশ যাওয়ার আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিবৃতি দিয়ে সত্য কথাগুলো বলে দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বিবৃতির মধ্যে একটা জিনিস সিগনিফিকেন্ট যে সরকারকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অভিমান করেছেন। এ জিনিসটাকে আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি যে সরকারে কে ভুল বোঝাচ্ছে? কারা সেদিন প্রধান বিচারপতিকে অফিস ছেড়ে যেতে বাধ্য করল?  যেদিন তার যোগদান করার কথা ছিল। কারা ভুয়া নথি তৈরি করল?’ তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি ছুটিতে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইনমন্ত্রী কয়েক ঘণ্টা বসেছেন। বেরিয়ে এসে তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগ কীভাবে চলবে, কর্মকর্তাদের নিয়োগ—এসব ব্যাপারে আলাপ করেছি। এটা সরাসরি বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ। প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে আর কারও এখতিয়ার নেই সেখানে হাত  দেবেন।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ঘটনার পর কী শুরু হয়েছে, আমরা  যা আশঙ্কা করেছিলাম যে বিচার বিভাগ আর স্বাধীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন, আইন মন্ত্রণালয় যা বলবে, সেটাই করবে। তার প্রমাণ হচ্ছে, কোনো রকমের আইন-কানুনের বাছ-বিচার না করে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট (পরোয়ানা) জারি। আইন বলছে, উচ্চ আদালতে একটা মামলা বিচারাধীন থাকলে সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত সেই মামলা নিম্ন আদালতে স্থগিত থাকবে। বিএনপি  চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলাগুলো চলছে, তার মধ্যে দুটো মামলা হাই কোর্টে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মুলতবি আছে। কোনো শুনানি হয়নি, ওয়ারেন্ট জারি করে দেওয়া হয়েছে। এর  পেছনে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, তারা খুব দ্রুত এ মামলাটা নিষ্পত্তি করতে চায়। তারা প্রধান বিরোধীদলীয়  নেতাকে সাজা দিতে চায়। এটা দেশের মানুষ বোঝে। এসব করে কখনো কোনো লাভ হয় না, বরং ক্ষতি হয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেই দিয়েছেন, এখন সর্বোচ্চ আদালতের ওপর সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এখানে আমাদের নতুন করে কিছু বলার নেই। যে  কোনো বুদ্ধিমান লোক, যারা এটা (বিবৃতি) পড়বেন, তারা খুব পরিষ্কার করে বুঝে যাবেন যে কী কারণে প্রধান বিচারপতিকে বিদেশ যেতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা নেই। জিজ্ঞেস করবেন, আপনারা যাচ্ছেন কেন? এ ছাড়া তো এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বিকল্প কিছু নেই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, রীতিনীতি-নিয়ম যা আছে, আমরা নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে চাই। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, কাজী আবুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর