আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপের পর বিএনপি নেতাদের মধ্যে খুশির স্রোত বইছে। এই খুশি বেশিদিন থাকবে না, অচিরেই ভাটা পড়বে।

গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য সংগ্রহ সভায় এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন, এটা সেমিফাইনাল। তারপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হবে ফাইনাল খেলা। তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে এমন লোকদের দলের সদস্য করতে হবে। জোর-জবরদস্তি করে কাউকে দলে সদস্য করা যাবে না। এ ছাড়া চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং সাম্প্রদায়িক কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। এবারের নতুন সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রথম প্রাধান্য পাবে মহিলা ভোটাররা। তারপর তরুণ ভোটাররা, যারা এবারই প্রথম ভোটার হয়েছে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপি এখনো কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। তাদের নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ছয় সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে জনমত যাচাইয়ের সুযোগ হিসেবে সেখানে নিজেদের প্রমাণে নেতা-কর্মীদের তাগিদ দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গত সিটি নির্বাচনে একমাত্র কুমিল্লা ছাড়া বাকি সবকটিতে আমরা জয়ী হয়েছি। এর মানে গ্রামের মানুষ আরেকবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আপনাদের কাছে আর কিছু চাই না, আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগের জোয়ার উঠেছে। এই জোয়ারে সব ষড়যন্ত্র ভেসে যাবে।