বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোগী-চিকিৎসক চাই আত্মিক সম্পর্ক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

রোগী-চিকিৎসক চাই আত্মিক সম্পর্ক

এ কে আজাদ চৌধুরী

রোগীকে শুধু চিকিৎসাসেবা বা অসুখ নির্ধারণ করে প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেওয়া নয়, বরং রোগীর সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে সার্বিক সমস্যা অনুধাবনপূর্বক প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়াই হচ্ছে একজন প্রকৃত চিকিৎসকের কাজ। অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রে যেখানে পেশাদারিত্বই সবচেয়ে মুখ্য বিষয়, সেখানে একজন চিকিৎসকের কাছে পেশাদারিত্বের চেয়ে মানবিকতাই মুখ্য। আর এ মানবিকতাবোধই ডাক্তারি পেশাকে স্বতন্ত্র করেছে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি লেকচার থিয়েটার হলে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। ঢাবির ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজি বিভাগ ও সুপিরিয়র হেলথ কেয়ারের যৌথ আয়োজনে ‘২১ শতকে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মডেল ফার্মেসির গুরুত্ব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টরেট জেনারেল (অব.) ড্রাগ অ্র্যাডমিনিস্ট্রেশন মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম আবদুর রহমান, বিভাগের চেয়ারম্যান সীতেশ চন্দ্র, বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটির সহ-সভাপতি মোসাদ্দেক হোসাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুপিরিয়র হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ড. ইডি এল হানসেন। অধ্যাপক এ কে আজাদ আরও বলেন, মেডিকেল পেশায় সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে রোগীর টেককেয়ার। মডেল ফার্মেসির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে ডাক্তারের কোনো প্রকার প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অনেক সময় ওষুধ দেওয়া হয়। যেটি অনেক সময় বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। মডেল ফার্মেসি প্রেসক্রিপশন ছাড়া সব ধরনের ওষুধ বিক্রি করার জন্য যে ভূমিকা নিয়েছে সেটি অবশ্যই প্রশংসনীয়।

সর্বশেষ খবর