বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাংবিধানিক পদে থেকে ইতিহাস চর্চা নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবিধানিক পদে থেকে ইতিহাস চর্চা নয়

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরা ইতিহাস ও রাজনীতি চর্চা করবেন না। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জানিয়েছেন, ‘জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা।’ কিন্তু আমি বলতে চাই, জিয়াউর রহমান সামরিকতন্ত্রের প্রবক্তা। তিনি বলেন, বিএনপির ২০ দফা প্রস্তাব নির্বাচনী রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য নয়, রোড ব্লক করার জন্য। তাদের বেশিরভাগ প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত এবং আরপিও পরিপন্থী। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিএনপির দেওয়া প্রস্তাবে নির্বাচনী রোডম্যাপ বাস্তবায়নের কিছু খুঁজে পাইনি। বিএনপির কয়েকটি প্রস্তাব ‘অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক’। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে নির্বাচনের ছয় মাস আগ থেকে সারা দেশের কাজকর্ম, লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে হবে, ভাবটা এমন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসিতে ২০ দফা প্রস্তাবের মাধ্যমে বিএনপি নির্বাচনী রোডম্যাপ বাস্তবায়নের আলোচনা ধামাচাপা দিয়েছে। তারা বিভ্রান্তির জাল তৈরির চেষ্টা করেছে, আগামী নির্বাচন বানচাল করাই তাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে বিএনপির দেওয়া প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে চক্রান্তমূলক। এটা সশস্ত্র বাহিনীকে বিতর্কিত করার প্রস্তাব। সশস্ত্র বাহিনীর যে কাজ, সেই কাজের বাইরে তাকে ন্যস্ত করার সুগভীর চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়। হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি নির্বাচনের লক্ষ্যে স্থির নয়, তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। তারা কখনো সহায়ক সরকার, কখনো নির্দলীয়, আবার কখনো নিরপেক্ষ সরকার চেয়েছে। বিএনপির নেতারা আসলে সকাল, বিকাল ও সন্ধ্যায় ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেন। এজন্য তারা নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে কথা বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টা ঝুলিয়ে রাখতে চাইছে। বিভিন্ন সময়ে তারা কথা পাল্টায়। এখনো তারা সেই অবস্থায় আছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, যুদ্ধ ঘোষণার এখতিয়ার কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেই, তখন সংসদকে ডাকতে হয়। আর ভোটের সময় সংসদ বহাল থাকলেও এর কোনো কাজ নেই, ভূমিকা নেই। প্রধান বিচারপতির ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ আছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান ও আদালতের ক্ষমতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিরা অনেক ক্ষমতা রাখেন। তাদের এখতিয়ার, ক্ষমতা এবং স্বাধীনতার ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতি স্ব-ইচ্ছায় ছুটিতে গেছেন। আবার স্ব-ইচ্ছায় দেশে ফিরবেন এবং দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এখানে সরকারের কিছু করারও নেই। সংবিধানের প্রদত্ত ক্ষমতাবলেই সর্বোচ্চ আদালত এবং অন্য আদালতগুলো পরিচালিত হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর