শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

হুন্ডি আর থাকবে না : জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

হুন্ডি আর থাকবে না : জয়

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বক্তব্য দেন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিদেশ থেকে টাকা আনতে হুন্ডি, দুর্নীতির দিন শেষ হতে চলেছে। রেমিট্যান্স এবং ফ্রিল্যান্সারদের আয় যে হুন্ডির মধ্য দিয়ে   আসত, সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। লিগ্যাল চ্যানেল দিয়ে চলে আসবে, দুর্নীতির সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। টাকা চুরি হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকছে না। যারা হুন্ডি করে তারা চিট করে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৭’-এর দ্বিতীয় দিনে পেপালের জুম সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, পেপাল চালু হওয়ায় দ্রুত টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে প্রবাসীরা আর হুন্ডি করবেন না এবং তাতে রেমিট্যান্স বাড়বে। বিদেশে থাকা ১ কোটি ১৮ লাখ প্রবাসী গত অর্থবছরে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এর বাইরে হুন্ডির মাধ্যমে কত টাকা এসেছে তার কোনো হিসাব নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে টাকা যেন ফ্রিলি না যেতে পারে, সেটা আমাদের পলিসি। তবে আমাদের সরকারের আমলেই বিদেশে যাওয়ার সময় একজন ব্যক্তিকে ১০ হাজার ডলার নিয়ে যাওয়ার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। ঘুষ নেওয়ার সুযোগ কারও হাতে থাকবে না : সরকারি বিভিন্ন ফি, বেতন, লাইসেন্স ফি, বিদ্যুৎ-গ্যাসের বিল অনলাইনে পরিশোধের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা জানিয়ে জয় বলেন, এসব লেনদেন মোবাইলের মাধ্যমে হবে। ক্ষমতায় আসার পরে ২০০৯ সালে চেষ্টা করেছিলাম, পলিসি গ্রহণ করেছিলাম। বেসরকারি সেক্টরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। আমরা আইসিটি বিভাগ থেকে উদ্যোগ নেব। মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সিস্টেম বানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেব। ভাতার টাকা, সেবার টাকা মেরে দেওয়ার সুযোগ, ঘুষ নেওয়ার সুযোগ কারও হাতে থাকবে না। ইন্টারনেটের দাম আরও কমানোর আশ্বাস : ভবিষ্যতে ইন্টারনেটের দাম আরও কমানোর আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসে, তখন এক এমবিপিএসের দাম ৭৮ হাজার টাকা ছিল। সরকারের গত মেয়াদের শেষে তা ৭০০ টাকায় এবং এখন ৬০০ টাকায় নেমে এসেছে। আমার ওয়াদা, আমরা কয়েক বছর পর পর দাম কমাতে থাকব। প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেব। ইনফো সরকার-৩-এর মাধ্যমে ২৬০০ ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক নিয়ে যাচ্ছি, আগামী দেড় বছরের মধ্যে তা হয়ে যাবে। এ বছরেই ফোরজি : প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান, এ বছরের মধ্যে মোবাইল ফোনের ফোরজি নিলাম করতে বুধবার প্রতিমন্ত্রী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেছি। ফোরজি গাইডলাইন নিয়ে ২৪টির সমস্যা ছিল, ২২টির সমস্যা সমাধান করেছি। বাকি দুটি দাম নিয়ে, দামাদামি চলছে।আমি দাবি করেছি, এই বছরের মধ্যে শহর এলাকায় ফোরজি ডিপ্লয় করতে হবে। টেক নিউট্রালিটি দিয়ে দিচ্ছি, যাতে যে কোনো সময় ফোরজি কেন, ফাইভজিও চালু করতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে যেসব ওয়াদা করেছিলাম, তা পালন করেছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী প্রমুখ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর