সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
যুবলীগ নেতাকে গুলি

আওয়ামী লীগ নেতা আটকের পর মুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জয়নাল আবেদীন নামে যুবলীগের এক নেতাকে গুলি করার ঘটনায় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন অফিসার্স ক্লাবের সামনে থেকে মঞ্জুকে আটক করা হয়। ওই ঘটনা নিয়ে মঞ্জুর সঙ্গে অন্য পক্ষের ‘সমঝোতার পর’ অভিযোগ প্রত্যাহার হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন। গতকাল রাতে ছাড়া পাওয়ার  পর মঞ্জু বলেন, এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সমাধান হয়ে গেছে। আটক হওয়া মঞ্জু চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। ঘটনার শিকার জয়নাল দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নেতা এবং আনোয়ারা উপজেলা থেকে নির্বাচিত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য এস এম আলমগীরের ছোট ভাই। কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন সন্ধ্যায় জানান, রাতে মঞ্জু ও জয়নাল দীর্ঘক্ষণ অফিসার্স ক্লাবে ছিলেন। ওইখানেই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অফিসার্স ক্লাবের সামনে দুজন দাঁড়িয়ে ঝগড়া করতে থাকেন। একপর্যায়ে মঞ্জু পিস্তল বের করে জয়নালের পায়ে গুলি করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মঞ্জুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

মঞ্জুকে আটকের খবর পেয়ে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নগরীর অক্সিজেন থেকে হাটহাজারী পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশে অবরোধ করে তার অনুসারী দলীয় নেতা-কর্মীরা। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে মিছিল সমাবেশ করে তারা। বেলা ১টার দিকে পুলিশ ‘বুঝিয়ে’ অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোতোয়ালি থানা থেকে মঞ্জুকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, দুই পক্ষের সমঝোতার পর ভিকটিম তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় মঞ্জুরুল আলমকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মঞ্জু বলেন, আমি অফিসার্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। ক্লাবের নির্দেশনা আছে আন-রেজিস্ট্রার্ড (সদস্য নয় এমন) কেউ ক্লাবে আসবে না।

গতরাতে এরকম একজন ক্লাবে আসায় আমি কেন এসেছে, তা জানতে চাই। তখনই জয়নাল আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হলে আমার কোমরে থাকা পিস্তল থেকে গুলি বেরিয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর