মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

খালেদা কক্সবাজার যাচ্ছেন রবিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন দিনের সফরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজার যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী শনিবার সড়কপথে রওনা দেবেন তিনি। ওই দিন চট্টগ্রামে রাতযাপন করে পরদিন রবিবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। সেখান থেকে চট্টগ্রামে এসে রাতযাপন করে পরের দিন সড়কপথে ঢাকায় ফিরবেন তিনি। গত রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসন কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। রাত পৌনে ৯টায় শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা। বৈঠকে অংশ নেওয়া স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাজ্যে প্রায় তিন মাস থেকে গত বুধবার দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। এর চার দিন পর গতকাল স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। জানা যায়, বৈঠকে আগামী ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে ব্যাপক শোডাউন করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে গত রাতের বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার  মোশাররফ  হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, শুরুতেই লন্ডন সফর শেষে সুস্থভাবে দেশে ফেরায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে ধন্যবাদ জানান স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এরপর বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে তিন মাসের যাবতীয় সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম তুলে ধরেন দলের মহাসচিব।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্থায়ী কমিটিকে অবহিত করেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়া কক্সবাজারে যাওয়ার পথে পথসভায় নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি করার চিন্তাভাবনা করার জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। ৭ নভেম্বর উপলক্ষেও ব্যাপক জনসমাগম করতে উদ্যোগ নেওয়া হয় বৈঠকে। স্থান হিসেবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতেও সমাবেশ করতে আবেদন করার কথাও বলা হয়। সেখানে বাধা দিলে বিকল্প কর্মসূচির কথাও বলেছেন স্থায়ী কমিটির কেউ কেউ। এ ছাড়াও বৈঠকে চলমান রাজনীতি ও সাংগঠনিক নানা বিষয়ে কথা হয় বলে জানা গেছে।

স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচিগুলোতে পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না। তখন বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি হবে, এটা আশা করা যায় না। তারা তো বাধা দেবেই। তবুও দলের প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর