মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এদিকে এর প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরপরই বিকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ ছাড়া যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলও তারেকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছে। তারেক রহমানসহ এ মামলায় মোট চারজনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন— একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, বিশেষ প্রতিনিধি কনক সারওয়ার এবং সিনিয়র রিপোর্টার মাহাথির ফারুকী খান। গতকাল সকালে আসামি কনক সারওয়ারের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম আদালতে সময়ের আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, কনক সারওয়ার চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এ জন্য তার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করা হোক। শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আর মাহাথির ফারুকী খানের পক্ষে কেউ আবেদন না করায় পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এ মামলার অন্য আসামি ইটিভির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে পূর্বশর্তে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে। এ ছাড়া আদালত আগামী ২০ নভেম্বর তারেক রহমানসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করা গেল কিনা- এই মর্মে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য ইটিভিতে সরাসরি প্রচার করার অভিযোগে ৮ জানুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার বাদী তেজগাঁও থানায় এসআই বোরহান উদ্দিন। ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইমদাদুল হক।

বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি : তারেক রহমানের বিরুদ্ধে  গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামীকাল বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও হয়রানিমূলক। যে দেশের প্রধান বিচারপতিকে জোরপূর্বক দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়, সেখানে বিরোধী দলের নেতারা সরকারের কী ধরনের নিষ্ঠুর আক্রোশের শিকার হবেন- তা সহজেই অনুমেয়। এই পরোয়ানা ‘সরকারের নির্দেশে’ হয়েছে বলেও মনে করেন রিজভী আহমেদ। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদের গাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলা এবং কৃষিবিষয়ক সহসম্পাদক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুককে গ্রেফতারেরও নিন্দা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।

 

সর্বশেষ খবর