বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) দুই মাস ধরে যে সংলাপ করেছে, সেটি ছিল নিছক লোক-দেখানো, ‘আইওয়াশ’। সংলাপে অংশ নেওয়া সবাই বলেছেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এখন জাতি তাকিয়ে আছে ইসি কী করেন? গতকাল দুপুরে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণ শাখা এ সভার আয়োজন করে। মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহসভাপতি ইউনুস মৃধা, সাইফুল ইসলাম পটু, রফিকুল ইসলাম রাসেল, তানভীর আহমেদ রবিন, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, যুবদলের মোরতাজুল করিম বাদরু, ছাত্রদলের আকরামুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইসি যে সংলাপ করছে তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অবাধ নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে কিনা, সন্দেহ রয়েছে। কারণ ইসি কিছুই করতে পারবে না। সরকারের বাইরে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কাজ করার শক্তি নেই। এরপরও আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে কিনা, যাতে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে। মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে চায়। নির্বাচন সামনে রেখে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। সব মামলাকে শেষ পর্যায়ে নিয়ে সাজা দিয়ে তারা বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার কৌশল নিয়েছে। কিন্তু এ দেশের ইতিহাস আছে, যাদের ওপর ভর করে ক্ষমতা চালাচ্ছেন, জনগণ জেগে উঠলে, সময় এলে এরাও আর পাশে থাকবে না। বিএনপির এমন কোনো নেতা নেই, যার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা নেই। এম কে আনোয়ার চলে গেলেন শুধু মামলার কারণে। শেষ পর্যায়ে এসে তাকে এমন মামলা দিল যে তিনি আর নিতে পারলেন না। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ বের করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, নেতিবাচক বিষয় বাদ দিয়ে পজিটিভ রাজনীতি করুন। সরকারের নেতিবাচক ‘কৌশল’ তছনছ করে দিতে না পারলে জাতীয়তাবাদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
