রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নাগরিক সমাবেশে কাদের সিদ্দিকী নাজমুল হুদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ও বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। সমাবেশে মঞ্চের সামনে সরকারদলীয় মন্ত্রী ও আওয়ামী  লীগ নেতাদের সঙ্গে তাদের বসে থাকতে দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মাচের্র ভাষণ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক কমিটির ব্যানারে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়। নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। এই সমাবেশে দেশের বিভিন্ন সন্মানিত নাগরিকদের মতো বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ও নাজমুল হুদাও অংশ নেন। কাদের সিদ্দিকী ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে মতপার্থক্যের কারণে দল ত্যাগ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেন তিনি। এরপর থেকে তিনি আওয়ামী লীগের একজন কড়া সমালোচক। তবে বরাবরই তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার একনিষ্ঠ ভক্তির কথা প্রকাশ করে থাকেন। গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এ সহচর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যান সপরিবারে। এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতেও গেছেন একাধিকবার।  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণটি যখন দেন, সেদিনের রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সেদিন আর আজকের দিনের পার্থক্য কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৭ মার্চের লোক ছিল সাড়ে সাত কোটি। আজকে মানুষ ১৬ কোটি। এখন সারা ঢাকা শহর ব্লক হয়ে গেলেও সেটার সঙ্গে তুলনা চলে না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এখন অনেক স্থাপনা হয়েছে। আর সেদিন একটা গাছপালাও ছিল না। তিনি বলেন, এটা ঠিক জননেত্রী শেখ হাসিনা উত্তম বক্তৃতা করেছেন। সেদিনও (১৯৭১ সালে) বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। অনুষ্ঠানে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ করার পর জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণটি বাজানো হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসার আগে জাতির পিতার ভাষণটি খণ্ডিত করে বাজানো হয়েছে। আবার অনুষ্ঠান শুরুর পর ধর্মগ্রন্থ পাঠ করার পর কেন সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি বাজানো হলো না— এটা আমার বোধগম্য নয়। উচিত ছিল, আনুষ্ঠানিকভাবে ভাষণটি বাজানো।

বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ‘বাংলাদেশ জাতীয় জোট’ নামের একটি জোটের প্রধান। ১৪ দলীয় জোটে ভেড়ার চেষ্টা করছেন সাবেক এই মন্ত্রী। গতকাল তাকেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে অতিথিদের বসার আসনের প্রথম সারিতে দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর