রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতি আনন্দের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতি আনন্দের

একাত্তরের ৭ মার্চ যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন, তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিকে ‘আনন্দের’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আজকে (গতকাল) খুব বড় সমাবেশ হচ্ছে। এই সমাবেশকে বলা হচ্ছে এটা কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে একটা রাষ্ট্রীয় নাগরিক সমাবেশ। এটা হচ্ছে, যে বক্তব্য ৭ মার্চ দেওয়া হয়েছিল, সেটা  ইউনেস্কো তালিকাভুক্তি করেছে, সেজন্য এই সমাবেশ। ভালো কথা। আমরা তো মনে করি যে, এটা আনন্দের কথা।’ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ভাসানী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল হক মিলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সাবেক মন্ত্রী জাকারিয়া খান চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, সাবেক মন্ত্রী নূর মোহাম্মদ খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নজমুল হক নান্নু, মেহেদি আহমেদ রুমী, প্রয়াত নেতা মসিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে ন্যান্সি রহমার, স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুল হুদা প্রমুখ বক্তব্য দেন। বিএনপি অংশ না নিলে আগামীতে জাতীয় নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এখন ক্ষমতায় আছেন কিছুদিনের জন্য। খুব আনন্দিত হচ্ছেন, বগল বাজাচ্ছেন যে আমরা তো ক্ষমতায় এসে যাব। কোনো চিন্তা নেই, বিএনপি না এলে না আসবে। মির্জা ফখরুল বলেন, কিন্তু বিএনপি না এলে নির্বাচন হবে না। আর গেলাতে পারবেন না। এ দেশের মানুষকে আর ওই ধরনের নির্বাচন গেলাতে পারবেন না। মানুষ অবশ্যই আগামী নির্বাচনে সব দলকে দেখতে চায়, মানুষ সত্যিকার অর্থেই সুন্দর পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নির্বাচনে যেতে চায়, এ দেশের মানুষ নিজেরা নিজের ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করতে চায়, সরকার গঠন করতে চায়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তোষামোদী বন্ধ করুন। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ দেখতে চায় বিএনপি। একটা নির্বাচন কমিশন বানিয়েছেন, আপনাদের (সরকার) ইচ্ছামতো লোক দেখানো কিছু ক্যারিকাচার করে এটা করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, তিনি (সিইসি) তোষামোদী করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে চান। আপনি নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নিন, নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন। কাউকে তোষামোদী করার তো দরকার নেই।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একবার বিএনপিকে খুশি করার চেষ্টা করছেন। আবার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষের কথা বলে আওয়ামী লীগকে খুশি করার চেষ্টা করছেন। এসব কথা বললে লাভ হবে না। কাজে দেখান। কাজের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে আপনারা নিরপেক্ষ প্রমাণ করুন। এখন থেকে সবকিছু আওয়ামী লীগ সরকার করে যাবে। তারা মহাসুখে হেলিকপ্টারে চড়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবে। আর আমরা একটা মিটিংও করতে পারব না, রাস্তায় দাঁড়াতেও পারব না। একটা সত্য কথা বলতেও পারব না। আমরা কোর্টের বারান্দায় ঘুরব। আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতি সপ্তায় হাজিরা দিতে হবে, আমাদের নেতা-কর্মীদের হাজিরা দিতে হবে— এভাবে নির্বাচন হবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। এখন থেকেই সব রাজনৈতিক দলকে তাদের কাজ করতে দিতে হবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এই সংসদকে ভেঙে দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি ফলপ্রসূ ও একটি কার্যকর নির্বাচন দিতে হবে।’

সর্বশেষ খবর