বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গাদের জন্য ২৩১২ কোটি টাকার প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঠাঁই হচ্ছে নোয়াখালীর ভাসানচরেই। প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হবে সেখানে। দ্বীপটির অবকাঠামো উন্নয়নে এ জন্য ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গতকাল অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় রোহিঙ্গাদের জন্য ‘আশ্রয়ণ-৩’ শীর্ষক এ প্রকল্পসহ ১০ হাজার ৯৯ কোটি টাকার মোট ১৪টি প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমানে অনেক রোহিঙ্গা খোলা আকাশের নিচে অমানবিক পরিবেশে বসবাস করছে। এ পরিস্থিতিতে তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে গৃহীত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নের এ প্রকল্পের কাজ চলতি নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের জন্য সেখানে ১২০টি গুচ্ছ গ্রামে ১ হাজার ৪৪০টি ব্যারাক হাউস ও ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। আবাসনের এ ব্যবস্থা স্থায়ী নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে ইতিমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দরকার। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত ভাসানচরের ভূমি উন্নয়ন ও সমুদ্রতীরের নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া থাকবে উপাসনালয়, নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনীর অফিস ও বাসভবন, অভ্যন্তরীণ সড়ক, পানি নিষ্কাশন অবকাঠামো, নলকূপ ও পানি সরবরাহ অবকাঠামো এবং ওয়াচ টাওয়ার। একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে— বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন : বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় পর্যায়) প্রকল্প, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, আজিমপুর সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প, ঢাকার জিগাতলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (গণপূর্ত ও স্থাপত্য অধিদফতর) জন্য ২৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকার মতিঝিল সরকারি কলোনিতে (হাসপাতাল জোন স্টোর কম্পাউন্ড) বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, কুমিল্লা শহরের শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প, শেরপুর (আখেরবাজার)-লঙ্গরপাড়া-শ্রীবর্দী (মামদামারী) সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্প, উচ্চমাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্প।

সর্বশেষ খবর