সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঘাটে ঘাটে শুধুই চাঁদাবাজি

ফুটপাথ ঘিরে কোটি কোটি টাকার সিন্ডিকেট, পরিবহন সেক্টরে বাণিজ্যের শেষ নেই, থানার চাঁদা ফাঁড়ির চাঁদা ঘাট চাঁদা স্পট চাঁদা, এ যেন উৎসব

সাঈদুর রহমান রিমন

ঘাটে ঘাটে শুধুই চাঁদাবাজি

চাঁদাবাজি ধান্দার কাছে জীবনযাত্রা বাঁধা পড়ে আছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই চলছে চাঁদাবাজির ধকল। ব্যবসা-বাণিজ্য নিশ্চিত রাখতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টেকাতে, সর্বোপরি প্রাণ বাঁচাতেও কাউকে না কাউকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পেতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য পেতেও দিতে হয় আরেক ধরনের চাঁদা। রাজধানীর বাসাবাড়িতে নবজাতক জন্মালেও চাঁদার হাত বাড়ায় একদল হিজড়া। তারা নবজাতককে ঘিরে হৈচৈ, নাচ-গানের বিপরীতে কেবলই চাঁদা খুঁজে। মৃত্যুর পরও স্বস্তি নেই। মসজিদের আঙিনায় জানাজা দেওয়াসহ কবরস্থানে দাফন করা পর্যন্ত সব ধাপেই সংশ্লিষ্টদের চাহিদা পূরণ করতে হয় স্বজনদের। এমনকি কবরস্থান থেকে লাশ চুরি ঠেকাতেও মাসোয়ারা দেওয়ার নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাঁদাবাজি থামছে না কিছুতেই। রাজধানীর ফুটপাথ থেকে শুরু করে নির্মাণাধীন বহুতল ভবন পর্যন্ত, তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়েও প্রভাব বিস্তার করে চলছে চাঁদা। পরিবহন, ডিস, ইন্টারনেট প্রোভাইডার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি-কোচিং বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতি টিকিয়ে রাখতে ম্যানেজিং কমিটিকেও এখন নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। ভুক্তভোগীদের মতে, চাঁদাবাজির ধরনেও নানা আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, পাল্টে গেছে চাঁদার পরিমাণ ও স্টাইল। আগে কেবল শীর্ষ সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি করত, এখন শীর্ষ সন্ত্রাসীর সহযোগীদের সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী গ্রুপ।

ফুটপাথেই কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি : রাজধানীর ফুটপাথে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে লাইনম্যান নামধারীরা হকারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলে। গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টনসহ আশপাশের ফুটপাথ থেকেই মাসে কয়েক কোটি টাকার চাঁদাবাজি ঘটে। এসব চাঁদাবাজি বন্ধে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৭২ জন চাঁদাবাজকে চিহ্নিত করে মামলা হয়েছে। কিন্তু মামলার পর চিহ্নিত চাঁদাবাজরা মামলা খরচের নামে চাঁদার রেট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো স্পর্শকাতর একটি প্রতিষ্ঠানের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষে অবৈধ পাকা ভবন নির্মাণ করে সেখানেই চাঁদাবাজ চক্র আস্তানা গড়ে তুলেছে। সেখান থেকেই মতিঝিল এলাকার ছিনতাই, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। শুধু মতিঝিল, দিলকুশা নয়— ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৪২ পয়েন্টে ফুটপাথ ও ১৪টি স্থানে অবৈধ হাটবাজার বসিয়ে চাঁদাবাজরা প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা চাঁদা তুলছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী, পুলিশ আর চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট এসব টাকা ভাগ করে নিচ্ছে। নগদ টাকার ছড়াছড়ি থাকায় নানা উদ্যোগেও ফুটপাথ-রাস্তা দখলমুক্ত হয় না, দূর হয় না নগরবাসীর ভোগান্তি। মতিঝিল অফিসপাড়ার ফুটপাথে মাছ-মাংস এবং মসলা ব্যবসায়ীরা জনপ্রতি দৈনিক ৬০০ টাকা করে চাঁদা দিচ্ছেন। শার্ট-প্যান্ট, গেঞ্জি বিক্রেতারা চাঁদা দিচ্ছেন ২০০ টাকা করে। ভ্যানে করে মৌসুমি ফল বিক্রেতারা দিচ্ছেন ১৫০ টাকা। সবজি বিক্রেতারা দিচ্ছেন ৫০ টাকা হারে। চা-সিগারেট বিক্রেতারা ৭৫ টাকা করে দিচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। চাঁদা লাইনম্যান-জোন প্রধানের হাত ঘুরে থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার পকেটে যায়। প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের কারণেই মতিঝিল এলাকার ফুটপাথগুলো কখনই মুক্ত করা যায় না।

পরিবহন সেক্টরে বিস্তৃত চাঁদাবাজি : পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য থামানোর সাধ্য যেন কারও নেই। ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা পরিবহন চাঁদাবাজদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় র‌্যাব-পুলিশের সব উদ্যোগ ভেস্তে যায়। রাজধানীর শতাধিক পয়েন্টে এ চাঁদাবাজি এখন অপ্রতিরোধ্য রূপ নিয়েছে। এক শ্রেণির পরিবহন শ্রমিক, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন মহলের আশীর্বাদপুষ্টদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে সম্মিলিত চাঁদাবাজ চক্র। তাদের কাছেই জিম্মি হয়ে পড়েছে যানবাহন চালক, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। চাঁদাবাজির অত্যাচার নিয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর মধ্যেও দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে। এসব নিয়ে বিভিন্ন রুটে পরিবহন ধর্মঘট পর্যন্ত হচ্ছে। বেবিট্যাক্সি, টেম্পো, বাস, মিনিবাস, ট্রাক থেকে জোর করে টাকা আদায়ের বিষয়টি বিভিন্ন বিশেষণে চিহ্নিত। সন্ত্রাসীরা সরাসরি ‘চাঁদা’ তুললেও পরিবহন শ্রমিকরা চাঁদা নেন শ্রমিক কল্যাণের নামে। ট্রাফিক সার্জেন্টরা টাকা তোলেন মাসোয়ারা হিসেবে। এ ছাড়াও আছে বেকার ভাতা, রাস্তা ক্লিয়ার ফি, ঘাট ও টার্মিনাল সিরিয়াল, পার্কিং ফি নামের অবৈধ চার্জ। এমন নানা নামে, নানা কায়দায় চলছে এ চাঁদাবাজির ধকল। রাজধানীসহ ঢাকার প্রবেশ মুখগুলোতে চলছে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। সায়েদাবাদ-গাবতলী রুটে চলাচলকারী একাধিক মিনিবাস চালক বলেন, নানামুখী চাঁদার কবলে গাড়ির চালক, মালিক, শ্রমিক সবার জীবনই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মহাখালী, গাবতলী, সায়েদাবাদসহ অন্যান্য বাস ও ট্রাক টার্মিনালের অবস্থা আরও দুর্বিষহ। এসব স্থানে গাড়ি ঢুকতেও টাকা লাগে, বেরোতেও টাকা লাগে। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার রুটে চলাচলরত কোচ চালকরা জানান, ইদানীং প্রায়ই কোনো না কোনো স্থানে ‘বেকার ভাতা’ আদায় করা হচ্ছে। নিজেদের বেকার পরিবহন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে একটি চক্র গাড়িপ্রতি ৩০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে থাকে। বিভিন্ন টার্মিনাল মুখে অবস্থান নিয়ে তারা রীতিমতো রং-বেরঙের স্লিপের মাধ্যমে চাঁদা তুললেও বাধা দিচ্ছে না কেউ। ট্রাকচালকরা জানান, আগে সাধারণত ঢাকার একজন সার্জেন্টকে ১০০ টাকা দিয়ে স্লিপ সংগ্রহ করলে সিটির মধ্যে আর কোথাও পুলিশকে চাঁদা দিতে হতো না। কিন্তু বর্তমানে এক সার্জেন্ট অন্য সার্জেন্টের স্লিপকে পাত্তা দেন না, আলাদা আলাদাভাবেই টাকা দিতে হয়।

চাঁদার মহোৎসব চলছেই : থানার চাঁদা, ফাঁড়ির চাঁদা, ঘাট চাঁদা, স্পট চাঁদা; পুলিশ হাতায় মাসোয়ারা, মালিক-শ্রমিকের কল্যাণ ফি; রুট কমিটি-টার্মিনাল কমিটির চাঁদাও চলে বাধাহীনভাবে। সবকিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে পুলিশের টোকেন-বাণিজ্য। টার্মিনাল-সংশ্লিষ্টরা জানান, সায়েদাবাদ থেকে দেশের পূর্ব-উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাসমূহের ৪৭টি রুটে চলাচলরত দুই সহস্রাধিক যানবাহন থেকে ফ্রিস্টাইলে চলছে চাঁদাবাজি।

বাস-মিনিবাসের চালক ও শ্রমিকরা জানান, চাঁদা না দিয়ে কোনো গাড়ি টার্মিনাল থেকে বাইরে বের হতে পারে না। চাঁদা নিয়ে প্রতিবাদ করলে নির্যাতনসহ টার্মিনাল ছাড়া হতে হয়। রাজধানী থেকে চলাচলকারী দূরপাল্লার কোচ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদাবাজি চলছে এবং লোকাল সার্ভিসের প্রতিটি গাড়ি থেকে ট্রিপে আদায় করা হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। বিভিন্ন রুটে চলাচলরত গাড়ির মালিক-শ্রমিকরা জানান, নানা রকম কমিটির দখলদারিত্ব আর মাত্রাতিরিক্ত চাঁদাবাজির অত্যাচারে মালিকরা পথে বসতে চলেছেন। শ্রমিকদের আয়ও কমে গেছে।

ট্রাক থেকেই কোটি টাকা : বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে পুলিশ। বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রুস্তম আলী খান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এর প্রতিবাদ করলে হয়রানি আরও বেড়ে যায়। বাংলাদেশে প্রতিদিন ৯০ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যান চলাচল করে। এর কোনোটিই পুলিশকে চাঁদা না দিয়ে চলতে পারে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। রুস্তম আলী খান জানান, সড়ক-মহাসড়কে ট্রাক চলাচল করতে গিয়ে একেকটি স্পটে ৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। এই চাঁদা যেমন হাইওয়ে পুলিশ নেয়, তেমনি মালিক ও শ্রমিক সমিতির নামেও আদায় করা হয়। চাঁদাবাজি নিশ্চিত করতে যেসব প্রশাসনিক হয়রানি চালানো হয় তাতে ট্রাক মালিক-শ্রমিকরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পণ্যবাহী ট্রাক ট্রাফিক জ্যামে পড়লে একটি গ্রুপ আছে যারা ভাঙচুরের হুমকি দিয়েও চাঁদাবাজি করে থাকে। রুস্তম আলী খান আরও জানান, বগুড়া থেকে ঢাকায় আসতে একটি ট্রাককে অন্তত ১২ জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। এগুলো নির্দিষ্ট চাঁদা। এর ওপর হঠাৎ? চাঁদাও রয়েছে। গড়ে একটি ট্রাককে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা চাঁদা গুনতে হয়। তাদের হিসাব মতে, সারা বাংলাদেশে পুলিশ ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যান থেকে এক কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। আর ঈদ বা কোনো উৎ?সবে এই চাঁদা আদায়ে পুলিশ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

নিষিদ্ধ গাড়ির অফুরন্ত চাঁদা : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার টেম্পো ও হিউম্যান হলার চলাচল করে। স্থানভেদে যাত্রী পরিবহনের জন্য এসব যান থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। টেম্পো বা হিউম্যান হলার থেকে সবচেয়ে বেশি চাঁদাবাজি হয়, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, বাড্ডার শাহজাদপুর, ফার্মগেট, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, জুরাইন রেলগেট, নিউমার্কেট, আজিমপুর, নিউ পল্টন, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, মিরপুর মাজার রোড, উত্তরখান, দক্ষিণখান এলাকায়। যাত্রাবাড়ী-ডেমরা রুটে চলাচলকারী টেম্পো ও হিউম্যান হলার থেকে ৪০০ টাকা হারে অন্তত তিন লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়। উত্তর বাড্ডা থেকে সাঁতারকুল রোডে চলাচলকারী শত শত অটো গাড়ির চাঁদা তুলছে ৭-৮ জনের একটি চক্র। ওই রোডের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্লাব ও সমিতির সাইনবোর্ড ঝুলিয়েও বিভিন্ন বখাটে গ্রুপ হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। নিষিদ্ধ ইজিবাইক চলাচলের ক্ষেত্রে রাজধানীর দক্ষিণখান, উত্তরখান ও উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা জুড়ে চলছে সীমাহীন নৈরাজ্য। সেখানে প্রতি গাড়ির প্রতিটি ট্রিপ থেকেই নানা অজুহাতে এবং থানা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি চলছে। প্রতিদিন ওই এলাকায় প্রায় আট হাজার অবৈধ যানবাহন থেকে ১৬ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি : রাজধানীতে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে গেলেই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুরান ঢাকার ডেভেলপার কোম্পানিকে জমি দিয়েছেন এমন একজন বলেন, এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর লোকজনকে ম্যানেজ করেই এখানে ডেভেলপাররা বাড়ি নির্মাণ করছে। কদমতলীর এক ডেভেলপার কোম্পানির মালিক জানান, সরাসরি চাঁদা না চেয়ে প্রভাবশালী চিহ্নিত একটি চক্র তার কেনা জমি নিয়ে অভিযোগ তুলেছে। ওই ব্যবসায়ী বলেন, আমি কাগজপত্র যাচাই করে জমির মালিকের সঙ্গে চুক্তিপত্র করে কাজ শুরু করেছি। হঠাৎ করে তারা এসে জমির মালিকানা দাবি করে বসেছে। এখন বাধ্য হয়ে মোটা চাঁদা দিয়ে হলেও ওদের সরাতে হবে। দেশের বিভিন্ন পৌরসভার প্রবেশ পথে পণ্য পরিবহনে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে। বাঁশকল কিংবা টোলঘর বসিয়ে আদায় করা হচ্ছে এ চাঁদা। মন্ত্রণালয় থেকে বার বার নির্দেশনা দেওয়ার পরও তা থামছে না। যেসব পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ট্রাক টার্মিনাল রয়েছে, সেগুলোতে টার্মিনাল টোল আদায়ের বিধান রয়েছে। যেখানে টার্মিনাল নেই সেখানে টোলের নামে চাঁদাবাজি সম্পূর্ণ অবৈধ। কিন্তু বেশকিছু পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে বাঁশকল ও টোলঘর বসিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা তোলা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে— নরসিংদীর মাধবদীতে ৫০ টাকা, রংপুর বাইপাসে ৫০ টাকা, ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনের কাছে ৩০ টাকা, বাগেরহাট বড় বাজারের সামনে ৬০ টাকা, মাদারীপুর শহরের প্রবেশ পথে ৮০ টাকা, রাজৈর পৌরসভার নামে টেকেরহাটে ৬০ টাকা, গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনের পাশে রাস্তার ওপর টোলঘর বসিয়ে ৫০ টাকা ও যশোরে গাড়িপ্রতি ২০ টাকা হারে চাঁদাবাজি চলছে।

সর্বশেষ খবর