মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাহাড়ে অপরিকল্পিত বনায়নে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

পাহাড়ে অপরিকল্পিত বনায়নে ক্ষোভ

পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘অপরিকল্পিত’ বনায়ন করা হচ্ছে অভিযোগ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। তিনি গতকাল এক আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘কোথায় সম্পদ সৃষ্টি করবে, তা না করে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বনায়ন করা হচ্ছে। কোথায় কোন গাছ কীভাবে, কতটা লাগানো উচিত— তার কোনো পরিকল্পনাই নেই।’ পার্বত্য অঞ্চলকে সুরক্ষার পাশাপাশি তার মন্ত্রণালয় বনায়ন ও জুম চাষের নানা পরিকল্পনা করলেও পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘পার্বত্য অঞ্চলের ঝুঁকি : জুলবায়ু, ক্ষুধা, অভিবাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাঁশ পাহাড়ের মাটি ও পানি ধরে রাখে। কিন্তু বন বিভাগ সেই বাঁশ উৎপাদনের দিকে নজর না দিয়ে সেখানে সেগুন, ইউক্যালিপটাসের মতো জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারী বৃক্ষ রোপণ করে চলেছে। পাহাড়ে কিন্তু প্রাকৃতিকভাবেই অনেক গাছ জন্মায়। সেই গাছগুলোর পরিচর্যা করলে সেখানে আলাদা করে কোনো বনায়নের দরকার পড়ে না। অথচ সেদিকে বন বিভাগের কোনো নজর নেই।’ পাহাড় ধস, জুম চাষ ও বনায়ন পরিকল্পনার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর। তিনি জানান, ৩২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পার্বত্য জেলাগুলোতে ১৩ হাজার বাঁশ বাগান তৈরি করা হবে, পরে বাঁশভিত্তিক বিভিন্ন শিল্প গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ফলের গাছের পাশাপাশি এখন আমাদের মসলা জাতীয় উদ্ভিদের চাষও বাড়াতে হবে। এক মণ ফলের চেয়ে সামান্য কিছু মসলাতে কিন্তু লাভ অনেক।’ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির বন ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রধান কারিগরি বিশেষজ্ঞ রাম এ শর্মা। সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের প্রথম সচিব কাজী গোলাম রহমান, সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। বক্তারা পাহাড়ে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার পাশাপাশি এখানে উৎপাদিত খাদ্য পণ্য আর কুটির শিল্পের নানা পণ্যের বিকাশে সমন্বিত প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সর্বশেষ খবর