সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ট্রাম্পের নির্বাচনী ই-মেইল নিয়ে তোলপাড়

ট্রাম্পের নির্বাচনী ই-মেইল নিয়ে তোলপাড়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের যে লাখ লাখ ই-মেইল চালাচালি হয়েছিল, সেই ই-মেইলের নথি এখন রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্তের শীর্ষ কর্মকর্তা রবার্ট মুলারের হাতে। তবে ট্রাম্পের আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, তদন্ত করতে গিয়ে কয়েক হাজার ইমেইল অবৈধভাবে হাতে নিয়েছেন মুলার। কোরি ল্যাংহোফের নামে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন আইনজীবী কংগ্রেস বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এসব অভিযোগ করেছেন। তবে মুলারের একজন মুখপাত্র এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন যে, ওইসব ইমেইল পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা ‘যথাযথ প্রক্রিয়া’ অনুসরণ করেছেন। দ্য ট্রাম্প ফর আমেরিকা (টিএফএ)’র হয়ে কাজ করেছেন আইনজীবী কোরি ল্যাংহোফের। গত নভেম্বরে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ এই সময়কালে ক্ষমতার পালাবদলে (ট্রানজিশন) সহায়তা করেছে টিএফএ। এ সময় ট্রানজিশন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখতে অন্যান্যের মধ্যে টিএফএ জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ) নামে একটি সরকারি সংস্থার ইমেইল হোস্টিংও ব্যবহার করেছিল। ট্রাম্পের আইনজীবী কোরি কংগ্রেস বরাবর লেখা তার চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, টিএফএ’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যকার ব্যক্তিগত বার্তা আদান-প্রদান জিএসএ’র স্টাফরা অন্যায়ভাবে বিশেষ প্রসিকিউটর মুলারের দফতরকে হস্তান্তর করেছেন। জিএসএ’র স্টাফরা এমন করার অধিকার রাখেন না এবং এক্ষেত্রে তারা ট্রাম্পের ট্রানজিশন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাদল সুরক্ষিত রাখতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। জিএসএ’র তরফে মুলারের দফতরকে যেসব ইমেইল দেওয়া হয়েছে সেগুলো ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনসহ ট্রানজিশন দলের ১৩ জন কর্মকর্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই স্বভাবতই এসব ইমেইল নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এদিকে, মাইকেল মুলারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, এক্ষেত্রে তারা কোনো ধরনের ভুল করেননি। পিটার কার নামে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের চলমান তদন্তকালে ইমেইলগুলো  হাতে পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা ইমেইল একাউন্টধারীদের অনুমতি নিয়েছি বা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি। বিবিসি।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প শিবির ও রাশিয়ার আঁতাত তদন্তে ইতিমধ্যে ট্রাম্পের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন, নির্বাচনী শিবিরের সাবেক চেয়ারম্যান পল মানাফোর্টসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনেছেন মুলার। এদের মধ্যে ফ্লিন এফবিআইকে সাবেক রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কথা স্বীকার করে দোষ স্বীকার করেছেন। এসব ঘটনায় কথিত আঁতাত তদন্তে সর্বশেষ কী ঘটে তা নিয়ে চিন্তিত ট্রাম্প। ধারণা করা হচ্ছে, ই-মেইলগুলোর বিষয়বস্তু প্রকাশ পেলে ট্রাম্প আবারও একটি বড় ধরনের ধাক্কা খাবেন। নতুন করে বিতর্ক চাঙা হয়ে উঠবে।

সর্বশেষ খবর