প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলন সংগ্রামের কিছু স্মৃতিচারণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সমবেদনাকালে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের পাশে অভিভাবকের ভূমিকায় থাকার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে পদদলনের ঘটনায় নিহত ১০ জনের পরিবারের প্রত্যেককে নগদ ৫ লাখ টাকা করে তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করার পর মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবন ত্যাগ করেন। গতকাল সকালে চট্টগ্রামে পৌঁছে নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজ দেখার পর বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে নগরীর চশমা হিলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর  বাসভবনে যান প্রধানমন্ত্রী। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকাহত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আবেগাপ্লুত ছিলেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বন্দর রক্ষা আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলনসহ দেশ ও দলের জন্য মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভূমিকার স্মৃতিচারণ করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে বাসায় স্বাগত জানান প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন ও দুই ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান নওফেল ও বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী নগর মহিলা লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন দুই সন্তানকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে বলেন, আপনিই এদের অভিভাবক। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ আমি তাদের অভিভাবক। এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, ড. হাছান মাহমুদ, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে পদদলনের ঘটনায় নিহত ১০ জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাদের খোঁজ খবর নেন এবং সমবেদনা প্রকাশ করেন। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে নগদ  ৫ লাখ টাকা করে তুলে দেন। গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। মহিউদ্দিনের বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সড়কজুড়ে দেখা যায় সাজ সাজ রব। প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার জন্য দুপুর থেকে সড়কের দুই পাশে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ।